ওয়েব ডেস্ক: পণের টাকা দিতে না পারায় শ্বশুর বাড়িতে দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করে অবশেষে তিলে তিলে মরতে হয়েছিল নিরুপমাকে। পণ প্রথার এই গল্প রবীন্দ্রনাথ নিখে গিয়েছিলেন একশ বছরেরও বেশি সময় আগে। তারপর বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। দেশ স্বাধীন হয়েছে, উন্নত হয়েছে মা্নুষের চিন্তা ভাবনা। আরও এগিয়েছে সমাজ। কিন্তু এসবের মাঝে এখনও রয়ে গিয়েছে পণ প্রথা। আজ ফের 'নিরুপমা'র গল্পকে মনে করিয়ে দিলেন রিহানা বিবি। পণ দিতে না পারার যে শাস্তি তাঁকে পেতে হল শুনলে আপনি চমকে উঠবেন।


মালদার বাসিন্দা আজাদ শেখ। বিয়ের সময় স্ত্রী রিহানার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা পণ দাবি করেছিলেন। অত টাকা জোগাড় করতে না পারলেও সামর্থ অনুযায়ী গয়না আর নগদ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে মেয়ের সংসার পেতে দিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু সে সংসার সুখের হয়নি। শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী, তিনজন মিলে রোজ চালাতে থাকে অত্যাচার। শক্রবার রাতে সেই অত্যাচার চরমে পৌঁছয়। রিহানার বাড়ির লোকের কাছে ফের টাকা দাবি করে আজাদ। রিহানা দিতে রাজি না হওয়া বাধে বচসা। রাগে রিহানার গায়ে ফুটন্ত জল ঢেলে দেন আজাদ। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা জানান, রিহানার শরীরের ৭০ শতাংশ গরম জলে দগ্ধ হয়ে গিয়েছে। ইণ্ডিয়ান এস্কপ্রেসে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিস রিহানার স্বামী আজাদ ও তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে পুরনো মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।