ওয়েব ডেস্ক: গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কেতুগ্রাম। এলাকার দখল নিয়ে  দফায় দফায় বোমাবাজি হয় সেখ শাহনাওয়াজ ও অনুব্রত অনুগামীদের  মধ্যে। উদ্ধার হয়েছে বহু তাজা বোমা। গ্রেফতার হয়েছেন ছয় জন। অন্যদিকে বীরভূমে নানুরে কামাল শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বেশ কিছু বোমা ও গুলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজও শান্তি  ফিরল না নানুরে, ভোট শেষ, নোট শেষ, তবু দ্বন্দ্ব মিটছে না। বরং নানুরের অশান্তি  এলাকা বাড়িয়ে ছড়াচ্ছে কেতুগ্রামেও। কারণ সেই একটাই, গোষ্ঠী কোন্দল।  আর সেই গোষ্ঠীকোন্দলেই এখনও প্রায় প্রতিদিন অশান্ত হচ্ছে নানুর।  পুলিসি তত্‍পরতায় শনিবারও বোমা উদ্ধার হয়েছে নানুরে।


আরও পড়ুন- সিঙ্গুরের ইতিহাস এবার জায়গা পেতে চলেছে পাঠ্যবইয়ের পাতায়


বীরভূমের নানুর। কিছুটা দূরেই বর্ধমানের কেতুগ্রাম। কিন্তু ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু সেই পাপুড়িই। কাজল শেখের বাড়ি। বাড়ি সেখ শাহনাওয়াজেরও। কাজলের দাদা সেখ শাহনাওয়াজ কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। কাজল শেখ অবশ্য বিধায়ক নন। তবে নানুরে যে তৃণমূল জেতেনি তাঁর কারণ কাজল শেখই। গোটা বীরভূমে অনুব্রতর জয়জয়কার হলেও নানুরে হেরেছেন অনুব্রত অনুগামী গদাধর শেখ। জিতেছে সিপিএম। আর সিপিএমের এই বিজয়ই নানুরের লড়াইকে ছড়িয়ে দিয়েছে কেতুগ্রামে।


চলতি মাসের আট তারিখে আক্রান্ত হন কেতুগ্রামের  তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ।   তৃণমূল পার্টি অফিসে বসে ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন  পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহেদ শেখ। তখনই লাঠিসোটা নিয়ে পার্টি অফিসে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হারা শেখের  নেতৃত্বে হামলা হয়।  কিছুদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ হারা শেখকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।


প্রকাশ্যে সেই যে সংঘাতের  সূত্রপাত হয়েছিল,তা থামার লক্ষন নেই। শনিবারও কেতুগ্রামের শ্রীপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ  এলাকার দখল নিয়ে সেখ শাহনাওয়াজ ও অনুব্রত অনুগামীদের  মধ্যে বোমাবাজি হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে।


আরও পড়ুন- দালাল চক্রে জেরবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল


কাজল শেখের পরিবর্তে গদাধর হাজরার ক্ষমতায়নে যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নানুর, ঠিক সেই ভাবেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কেতুগ্রাম। এবার সংঘাতে  কাজলের দাদা শাহনাওয়াজ ও অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা।