বিজেপিতে কী বাদ রূপা?
ডাকসাইটে অভিনেত্রী। দাপুটে নেত্রী। গ্ল্যামারাস, বেপরোয়া। বিজেপিতে রূপার উত্থান তরতরিয়ে। এবার কি উল্টোস্রোত? বিজেপিতে কী বাদ রূপা? একথা শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কিন্তু, এমনটাই ঘটেছে।
ওয়েব ডেস্ক:ডাকসাইটে অভিনেত্রী। দাপুটে নেত্রী। গ্ল্যামারাস, বেপরোয়া। বিজেপিতে রূপার উত্থান তরতরিয়ে। এবার কি উল্টোস্রোত? বিজেপিতে কী বাদ রূপা? একথা শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কিন্তু, এমনটাই ঘটেছে।
কর্মী প্রশিক্ষণের জন্য সাত সাতটি কমিটি তৈরি করেছে রাজ্য বিজেপি। একটিতেও ঠাঁই হয়নি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতির। গৈরিক শিবিরে তাঁর আচ্ছে দিন কি ফুরিয়ে এল?
আরও পড়ুন- নির্দেশ সত্ত্বেও নদিয়ার তেহট্টে স্কুলের জমি দখলমুক্ত না করায় হাইকোর্টে তিরস্কৃত প্রশাসন
দুহাজার আঠারোয় পঞ্চায়েত ভোট। উনিশে লোকসভা নির্বাচন। এখন থেকেই ঘুটি সাজাচ্ছে বিজেপি। স্থির হয়েছে অনলাইন সদস্যদের থেকে কর্মী বেছে নেওয়া হবে। একবছর ধরে চলবে তাদের প্রশিক্ষণ। সিলেবাসে থাকছে,
১)বিজেপির ইতিহাস।
২)বিজেপির নীতি নির্ধারণ।
৩)বিজেপির গণ সংগঠন।
৪)বিজেপির কর্মপদ্ধতি ও সংগঠন।
৫)বিজেপির কর্মী ও নেতার ভূমিকা।
৬)দেশের সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদ।
৭)সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সংযোগ।
শেখাবেন কারা? তাও ঠিক হয়ে গেছে। প্রতি বিষয়ের জন্য তৈরি একটি করে কমিটি। কমিটিতে থাকছেন, রীতেশ তিওয়ারি, শমীক ভট্টাচার্য, লকেট চট্টোরাধ্যায় এমনকি জয়প্রকাশ মজুমদারও। নেই শুধু রূপা গাঙ্গুলি।
শিক্ষকের পদে রূপাই নেই? এটা কি যোগ-বিয়োগের ভুল? রাজ্য বিজেপি জানাচ্ছে তা নয়। রূপার বিয়োগ সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, মহাভারতের অগ্নিকন্যার বিরুদ্ধে কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ জমা হয়েছিল বিজেপি রাজ্য দফতরে। তাঁর দাপুটে, বেপরোয়া জীবনযাপনেও অসন্তুষ্ট রক্ষণশীল সংঘ নেতৃত্ব। তাই কি কোপে পড়লেন তিনি?
আরও পড়ুন- গঙ্গা ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে দিশেহারা মালদহের বৈষ্ণবনগরের বিজেপি বিধায়ক
সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ঘুরে যাওয়ার পরেই প্রাথমিক বৈঠকে বসে বিজেপির নবগঠিত সাতটি কমিটি। সেই বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েও যোগ দেননি রূপা। শিক্ষক মনোনীত না হয়েই কি প্রতিবাদের পথে গেলেন তিনি? রাজনীতির অলিন্দে ঘুরছে সেই প্রশ্ন।