ওয়েব ডেস্ক: বর্ধমান আর নদিয়ার মাঝে ভাগীরথী এখন মৃত্যুনদী। আজ উদ্ধার আরও এক মহিলার দেহ। কাল দিনভর তল্লাসিতে উদ্ধার হয়েছে ৪ শিশু সহ ১৯টি দেহ। আরও দেহ স্রোতে ভেসে গেছে কিনা হদিশ পেতে আজও নদীবক্ষে তল্লাসি চলছে। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল ছেড়েছে NDRF, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও কলকাতা থেকে আসা উদ্ধারকারীরা। সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনই উদ্ধার কাজ চালাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কোনও পরিকাঠামো ছাড়াই আদৌ একাজ কতটা সম্ভব তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই নদিয়া জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মৃতদের পরিবার পিছু ২লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে উদ্ধারকারীদের সামনে এখনও মূল চ্যালেঞ্জ ডুবে যাওয়া নৌকাটি টেনে তোলা। প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারীরা এলাকা ছাড়ায় কীভাবে নৌকাটি তোলা হবে তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ সকালেও কালনাঘাট থেকে উদ্ধার হল আরও এক মহিলার দেহ। কিন্তু, উদ্ধারকাজে দাঁড়ি টেনে ফিরে গেছে NDRF।  ফিরে যাচ্ছেন প্রশিক্ষিত ডুবুরিরাও। তাহলে, উদ্ধারকাজ চলবে কীভাবে? ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। ফেরি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে কালনা পুরসভা। 


বর্ধমান ও নদিয়ার মাঝে ভাগীরথী এখন মৃত্যু নদী। সময় যত গড়াচ্ছে ভেসে উঠছে একের পর এক লাশ। সোমবার দিনভর তল্লাসিতে মিলেছে ১৯টি দেহ। মঙ্গলবার সকালে আরও এক। আর কত দেহ ডুবে আছে নদীগর্ভে? উত্তর নেই কারও কাছেই। তিনদিনের লাগাতার চেষ্টার পর এখনও উদ্ধার করা যায়নি নৌকা। ক্ষোভে ফুঁসছেন দু পাড়ের মানুষ।


নৌকা উদ্ধার হয়নি। নদী গর্ভে আর দেহ আছে কীনা জানা নেই কারও। কিন্তু,  NDRF-এর কাজ শেষ। ফিরে গেছেন কলকাতা থেকে আসা প্রশিক্ষিত ডুবুরি টিমও। কেন এত তাড়াহুড়ো? অন্ধকারে কালনা পুরসভা। তবে উদ্ধারকাজের কী হবে? স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন হার মানবেন না তাঁরা। কালনা থেকে গুপ্তিপাড়া পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার জলপথে জারি থাকবে তল্লাসি। কিন্তু, প্রশিক্ষিত ডুবুরি ও পরিকাঠামো ছাড়া ৬২ ফুট ভাগীরথীর গর্ভে উদ্ধার কাজ চালানো কতটা সম্ভব? প্রশ্ন স্বজনহারা পরিবারের।