COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যুরো: মাধ্যমিকে কন্যাশ্রী IMPACT। কমছে স্কুলছুট মেয়েদের সংখ্যা । দেখা যাচ্ছে, কন্যাশ্রী প্রকল্প চালুর পর অনেক বেশি সংখ্যায় মেয়েরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে। এবছর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের  সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার বেশি। 


দুহাজার চোদ্দর নভেম্বর। চালু হল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের মেয়েদের স্কুলমুখী করতে উদ্যোগী হয় রাজ্য। শুধু কী পড়াশুনো...সঙ্গে পছন্দের অনেক বিষয়কেই যুক্ত করা হয় তালিকায়। তথ্য বলছে, এরপর থেকেই কমছে মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা। যার প্রভাব পড়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও। দেখা যাচ্ছে  দু হাজার বারোয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে  ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যার  ছিল ১২ হাজার বেশি। কন্যাশ্রী চালুর পর ধাপে ধাপে সেই পার্থক্যই লাখ ছাড়িয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই হিসেব। 


২০১২য়   ছাত্রদের তুলনায় বারো হাজার ঊনপঞ্চাশ জন বেশি ছাত্রী মাধ্যমিকে বসেছিলেন। পরের বছর এই পার্থক্য বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৭৫৯-এ। ২০১৪য়  এই পার্থক্য বাড়ে আরও ৯ হাজার। সেবছর ছাত্রদের তুলনায়  ৩৬ হাজার ৬৮৫ জন বেশি ছাত্রী মাধ্যমিকে বসেছিলেন।


দু হাজার পনেরোতেই বদলটা নজরে আসে। একলাফে সাড়ে পনেরো হাজার বেড়ে ছাত্রছাত্রীদের পার্থক্য পৌছয় ৫২ হাজার ৪৫২য়। দু হাজার ষোলোয় সংখ্যা টা আরও বেড়ে পার্থক্য দাঁড়ায় ৭৩ হাজার ৩৫৬-তে। আর এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ছাত্র এবং  ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ছাত্রী। অর্থাত্‍ সংখ্যার পার্থক্য এক লক্ষ কুড়ি হাজার। 
স্বাভাবিকভাবেই খুশি ছাত্রীরা। কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য অনেক উপকৃত হয়েছে মেয়েরা। বলছেন অভিভাবকরাও। প্রত্যন্ত গ্রাম হোক বা শহরাঞ্চল। যে পরিবারগুলি অর্থাভাবে মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে পারত না, তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে কন্যাশ্রী।