ওয়েব ডেস্ক : মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে  ঘুম ছুটেছে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকার বাসিন্দাদের। লরি লরি মাটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে শহরাঞ্চলে। বালির বদলে চাষের জমির মাটিতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে একের পর এক জলাশয়, খাল, বিল, পুকুর। এলাকার বিঘের পর বিঘে জমি জুড়ে কোথায় ৩০ আবার কোথাও ৩৫ ফুট গভীর গর্ত। চাষিদের অভিযোগ, বিক্ষিপ্ত ভাবে মাটি কাটায় কোথাও জমিতে জল দাঁড়াতে পারছে না। কোনও জায়গায় আবার জল জমে ফসলের গোড়া পচে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ফসল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টাকা মাটি, মাটি টাকা। বালির থেকে মাটিতে লাভ বেশি। তাই বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এক শ্রেণির প্রোমোটার ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই ব্যবসায়। এক লরি মাটি বিক্রি হলে জমির মালিক পান ১০০ টাকা। সেই মাটি জলাশয় বা পুকুর ভরাটের জন্য বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। পে লোডার দিয়ে মাটি তোলার কাজ করেন যিনি, তার মাসিক আয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। মাটি তোলা-নামানোর কাজ করেন যাঁরা, তাঁদের দিন মজুরি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা সবারই মদত রয়েছে এই অসাধু কারবারে।


প্রশাসনের কানে খবর যেতেই শুরু হয়েছে ধরপাকড়। বারাকপুর পুলিস কমিশনারের নির্দেশে শুরু হয়েছে টহলদারি। গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুটি গাড়ি। প্রশাসনের এই উদ্যোগ কতদিন জারি থাকে এখন সেটাই দেখার।


আরও পড়ুন, প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে বালি খাদান, অস্তিত্ব সংকটে মানা চরের ১০ হাজার বাসিন্দা