রাজ্যে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সংখ্যা ৭৫৬!
সমাজে স্বীকৃতির দাবিতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের লড়াই দীর্ঘদিনের। সচিত্র পরিচয় পত্রে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচয় দেওয়া যাবে। গতবছরই এই সুযোগ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অথচ এরাজ্যে এই একবছরে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেছেন হাতে গোণা কিছু মানুষ।
ওয়েব ডেস্ক: সমাজে স্বীকৃতির দাবিতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের লড়াই দীর্ঘদিনের। সচিত্র পরিচয় পত্রে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচয় দেওয়া যাবে। গতবছরই এই সুযোগ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অথচ এরাজ্যে এই একবছরে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেছেন হাতে গোণা কিছু মানুষ।
৭৫৬। হ্যাঁ এরাজ্য থেকে মাত্র এই ৭৫৬ জনই নির্বাচন কমিশনে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবেপরিচয় দিয়েছেন নিজেদের। হাজারও পেরোয়নি সংখ্যাটা। বিস্ময়কর হলেও সত্যি। সমকামী, এলজিবিটি কিম্বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ কি সত্যিই এত কম এরাজ্যে? নির্বাচন কমিশনের সুযোগ কেন কাজে লাগাতে পারলেন না তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ?
এখন সমাজের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে মানুষের চিন্তাধারাও। এখন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের আওয়াজ অনেক দূর পৌছচ্ছে। তাঁদের জন্য কথা বলার মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। তত্পর হচ্ছে সরকারও। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে নিয়ে ছুত্মার্গও কমেছে জনমানসে। তবুও কেন নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না সংশ্লিষ্ট সবাই। ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রান্সজেন্ডারের সম্পাদক রঞ্জিতা সিনহার মতে সচেতনতাই গড়ে তোলা হয়নি যথাযথভাবে।
কৃষ্ণনগর উওমেনস কলেজের অধ্যক্ষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন তৃতীয় লিঙ্গের মর্যাদা দিলেও, তা গ্রহণ করার মতো যথেষ্টশিক্ষা সবার নেই। অনেকে জানেনই না কী কারণে এপিক কার্ড দরকার। সেজন্যও প্রভাবিত হচ্ছে নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া।