ওয়েব ডেস্ক: বাঁকুড়ার জঙ্গল এখন হাতির ন্যাচরাল হ্যাবিট্যাট। লাইন পেরিয়ে হাতির চলাচল আগামী দিনে আরও বাড়বে। হাতি বাঁচাতে এই এলাকাকে কি এলিফ্যান্ট করিডর ঘোষণা করা যায় না? ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই মৃত্যুর দায় কার? ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছেন চাপান উতোর। রেলকেই দায়ী করেছেন প্রধান মুখ্য বনপাল বন্যপ্রাণ প্রদীপ ব্যাস। প্রাক্তন প্রধান মুখ্য বনপাল অতনু রাহা অবশ্য মনে করেন এটা চাপান উতোরের সময় নয়। সমস্যার গভীরে যাওয়া উচিত।


হাতি মৃত্যুর কারণ কী? দুটি কারণ উঠে আসছে। প্রথমটি প্রত্যক্ষ কারণ। বন দফতর জানাচ্ছে, সঙ্গে দুই শাবক থাকাতেই দ্রুত লাইন পেরোতে পারেনি হাতির দলটি। দ্বিতীয় কারণটি গভীরতর। দক্ষিণবঙ্গের এই এলাকা হাতির স্বাভাবিক বাসস্থান নয়। ২০ বছর আগে দলমা থেকে সমতলে যাতায়াত শুরু করে হাতিরা। এখন বছরের অধিকাংশ সময় এখানেই থাকে হাতির দলগুলি।


আরও পড়ুন ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি শিক্ষাক্ষেত্রে


বাঁকুড়ার জঙ্গলেও এখন ডুয়ার্সের পরিস্থিতি। অসুখ যখন এক, চিকিত্‍সাও একরকমই হওয়া উচিত। এলাকাকে হাতি করিডর ঘোষণার নিদান দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। হাতি বাঁচাতে একাধিক সমাধানসূত্র দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেগুলি হল, বন দফতরের সঙ্গে রেলের সমন্বয় সাধন। রেললাইনের ধারে হাতির পাল এলে সঙ্গে সঙ্গে সেই খবর চালককে দেওয়া। হাতির পালের গতিবিধির খবর পেতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ। হাতি চলাচলের পয়েন্টগুলি চিহ্নিত করে নজরদারি।


বনকর্মীদের শূন্যপদ গুলি অবিলম্বে পূরণ করা উচিত বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই দাওয়াইয়ে সারবে কি অসুখ। বাঁচবে কি হাতি? এটাই এখন প্রশ্ন।