ব্যুরো: ত্রিকোণ প্রেমের জের। বাগুইআটির কেষ্টপুরে উদ্ধার হল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ। বন্ধুর বাড়ি থেকে কাল ইমন দত্ত নামে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন ইমন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


মেধাবী ছাত্র। পুরুলিয়ায় বাড়ি। কলকাতার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসেন ইমন দত্ত। মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র। থাকতেন ই এম বাইপাস সংলগ্ন রুবি মোড়ের কাছে একটি মেস বাড়িতে। দু-তিনদিন অবশ্য সেখানে ছিলেন না ইমন। ছিলেন বন্ধুদের ভাড়া করা কেষ্টপুরের সমর সরণির ফ্ল্যাটে। বন্ধুরা নেই, ফাঁকা ফ্ল্যাটেই তাই থাকছিলেন ইমন। বৃহস্পতিবার এই ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হল তার দেহ। 


 


বছর দুয়েক আগে পুরুলিয়ায় থাকাকালীন এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইমনের। দু বাড়িতে মেনেও নেয় সেই সম্পর্ক। সেই তরুণী এখন কলকাতায় ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ছাত্রী। গত কয়েকদিন ওই ফাঁকা ফ্ল্যাটে আসেন তরুণী। বৃহস্পতিবারও তরুণী এসেছিলেন। তিনিই প্রথমে দেখতে পান ইমনের ঝুলন্ত দেহ। 



পুলিসের দাবি, ওই তরুণী জানিয়েছেন, অন্য এক বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কিছুদিন আগে থেকে ইমন আর তাঁর সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন ইমন। তরুণীকে ব্ল্যাকমেলও শুরু করেন এই মেধাবী। ছাত্র আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছে ইমনের পরিবার। তবে এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে। কেন ওই তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করতেন ইমন? তরুণী কেন পুলিসের সাহায্য নিলেন না? কেন ইমনের পরিবারকে জানালেন না? অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক। তারপরও কেন ইমনের সঙ্গে দেখা করতেন ওই তরুণী? বারবার আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন ইমন। তা জেনেও কেন চুপ করে ছিলেন ওই তরুণী? প্রাথমিকভাবে পুলিস এ ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবেই দেখছে।