ওয়েব ডেস্ক: জল নেই মাইথন জলাধারে। জল দিতে পারবে না ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট। এর আগে জল মেলেনি আমনের মরশুমে। এবার জল মিলবে না রবি ও বোরো চাষেও। জানিয়ে দিয়েছে ডিভিসি। আশঙ্কায় এখনই হাহাকার পড়ে গেছে বর্ধমান ও হুগলির চাষিদের মধ্যে। আশ্বাস দিচ্ছেন বর্ধমানের জেলাশাসক। তাতে অবশ্য স্বস্তি ফিরছে না।ডিভিসির জল নেই। এখন থেকেই হাহাকার বর্ধমান,হুগলির চাষিদের। শুধু মাত্র চাষিরাই জলের জন্য হাপিত্যেশ করছে এমনটা নয়, মাইথন জলাধারের পিকনিকের মৌসমে যার নৌকা চালায় তারাও হতাশ।জলাধারে জল না থাকায় টান পড়েছে রুজিতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রুজিতে টান পড়েছে বর্ধমানের চাষিদের। আমনের মরসুমে জল মেলেনি। বোরো চাষেও জল দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে ডিভিসি। বোরোর  জন্য পাওয়া জলে, আলু ও রবি শস্য চাষেও খানিকটা সুবিধা হয়। কিন্তু এবার তা হওয়ার জো নেই। জলই নেই। প্রথম বর্ষাতেই ভাল রকম জল ছাড়ে ডিভিসি। সেই জল চাষের কোনও কাজে লাগেনি। ডিভিসির আশঙ্কা ছিল পরে ভারি বৃষ্টিতে জলাধার রক্ষাই দুরুহ হয়ে উঠবে। তাই আগে ভাগেই জল ছেড়ে দেয়। কিন্তু পরে আর তেমন বৃষ্টি হয়নি। থইথই জলাধারের  জল আর তেমন নেই বললেই চলে।


এবার তাহলে কী হবে। আমনের মরসুমে জলের সমস্যা মেটাতে ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট থেকে জল কিনতে চেয়েছিল রাজ্যসরকার। জল মেলেনি। ঝাড়খণ্ড জানিয়ে দিয়েছে  জল দেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে বর্ধমানের জেলাশাসক বলছেন কোনও অসুবিধা হবে না। জেলা শাসক বলছেন বটে। কিন্তু কী করে সমস্যা মিটবে তেমন যুক্তিগ্রাহ্য ফর্মুলা কেউই দেখতে পাচ্ছেন না। আদতে আকাশের দিকেই চেয়ে রয়েছেন আউশগ্রামের চাষি কিম্বা ডিভিসি কর্তারা। হয় তো বর্ধমানের জেলাশাসকও।