ওয়েব ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটছে। এ বার গণি খান চৌধুরীর জেলায় কংগ্রেসের হাত থেকে জেলা পরিষদের দখল ছিনিয়ে নিলেন শুভেন্দু। বজায় রইল পরম্পরা। বাম-কংগ্রেস সদস্যদের ভাঙিয়ে এনে মালদা জেলা পরিষদের দখল নিল তৃণমূল। সভাধিপতি সরলা মুর্মু শিবির বদল করে যোগ দিয়েছেন ঘাসফুলে। দলবদলের পরও তিনি পদে থাকছেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুধু কথায় নয়। কাজেও করে দেখাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। অধীর চৌধুরীর দুর্গে ধস নামিয়েছেন। বাম-কংগ্রেস কাউন্সিলরদের ভাঙিয়ে এনে মুর্শিদাবাদের তিনটি পুরসভা দখল করেছে তৃণমূল। একইভাবে জেলা পরিষদেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে ক্ষমতা দখলের কাছাকাছি পৌছে গেছে তারা।


আরও পড়ুন মালদা জেলা পরিষদ দখল করে কংগ্রেসকে বড় ধাক্কা তৃণমূলের


বিধানসভা ভোটে মালদহে কোনও আসন পায়নি তৃণমূল। তিন মাসের মধ্যে শুভেন্দু ম্যাজিকে জেলা পরিষদের দখল নিল ঘাসফুল। সোমবার, তৃণমূল ভবনে মালদহ জেলা পরিষদের বাম এবং কংগ্রেস সদস্যরা যোগ দিলেন তৃণমূলে।


দু-হাজার তেরোর পঞ্চায়েত ভোটে মালদহ জেলা পরিষদে ছ-টি আসন পায় তৃণমূল। বাম ও কংগ্রেসের ছিল ষোলোটি করে আসন। বামফ্রন্টের সমর্থনে জয়ী দুই সমাজবাদী পার্টি সদস্যের সমর্থনে বোর্ড গড়ে কংগ্রেস। মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য দীপালি বিশ্বাস সিপিএমের প্রতীকে জয়ী হয়ে এখন গাজোলের বিধায়ক। ফলে, জেলা পরিষদে ম্যাজিক ফিগার নেমে দাঁড়িয়েছে উনিশ। সোমবার, তৃণমূল ভবনে মালদা জেলায় দলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী জানান, জেলা পরিষদের আট বাম সদস্য তাঁদের দলে যোগ দিলেন। সমাজবাদী পার্টির দুই সদস্যও তৃণমূলকে সমর্থন করছেন। সঙ্গে, কংগ্রেসের আরও ছয় সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় মালদা জেলা পরিষদে দলের সদস্য সংখ্যা এখন দাঁড়াল বাইশে। যা ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে তিন বেশি।


আরও পড়ুন মন্দারমণিতে দুর্ঘটনায় বিএমডব্লু চালক দীপেশ কুমারকে গ্রেফতার করল পুলিস


জেলা পরিষদ সদস্য দুর্গেশ সরকার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত না থাকলেও তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন। অন্য দল ভাঙিয়ে জেলা পরিষদ দখল করলেও এর পিছনে ভয়-ভীতি-প্রলোভন নেই বলেই তাঁর দাবি। মালদা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র রায়ও এদিন ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন।