দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি ঘোরালো। তাই  রাতে নবান্নেই থেকে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে বসেই ঘণ্টায় ঘণ্টায় নিলেন বন্যার আপডেট। আজ চার মন্ত্রীকে পাঠাচ্ছেন বন্যা কবলিত চার জেলায়। আর  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুখ্যমন্ত্রী নিজে আজ যাচ্ছেন হাবরায়। ভাসছে দক্ষিণবঙ্গ। জলের তলায় বারোটি জেলা। তাই আগেই লন্ডন সফর কাঁটছাঁট করে দেশে ফিরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে


সারারাত থাকলেন নবান্নে।


রবিবার বিকেল প্রায় চারটে পঞ্চাশ


ছুটির দিনেও নবান্নে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। ডেকে নিলেন মুখ্য সচিব, সেচ সচিব, ডিজি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিবকে। শুরু হল বৈঠক। জানিয়ে দিলেন বন্যা পরিস্থিতি নয়, বন্যার কবলেই


পড়েছে দক্ষিণবঙ্গ।



শনিবার নিজেই ছুটে গিয়েছিলেন হাওড়া আর হুগলিতে। সঙ্গে ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী। এবার জেলায় জেলায় যাওয়ার জন্য মন্ত্রীদের দল গড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরে


যাচ্ছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি।  বীরভূমে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুর্শিদাবাদে চন্দ্রনাথ সিংহ। অরূপ বিশ্বাসের দায়িত্ব বর্ধমানের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের। মুখ্যমন্ত্রীর


অভিযোগ, ডিভিসির সংস্কার না হওয়াতেই ফিবছর পরিস্থিতি জটিল হয়।


মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। শুনে তড়িঘড়ি নবান্নে হাজির মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং জাভেদ খান। চলে আসেন দোলা সেন-ও।


রাত তখন প্রায় সাড়ে আটটা।


মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করে ফেলেন বন্যা পরিস্থিতিতির সব আপডেট নবান্নে বসেই নেবেন তিনি। আর তার জন্য রাতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ততক্ষণে বন্যা নিয়ে তৈরি কন্ট্রোল রুমে ঢুকে


পড়েছেন দমকলমন্ত্রী।


রাত সাড়ে দশটা।
মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফোন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।


রাত এগারোটা
শুরু হয়ে যায় জেলা থেকে খবর নেওয়া। সরাসরি জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারদের ফোন করতে শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।


গোটা রাতই চলল ঘণ্টায় ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির লেটেস্ট খবর নেওয়া।


নবান্নে রাত্রিবাস মুখ্যমন্ত্রীর। পিছোলেন উত্তরবঙ্গ সফরও।