পুরুলিয়া : কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বাঘমুণ্ডিতে বিরোধী জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের অঙ্ক বলছে, জোট হওয়ায় পুরুলিয়ায় স্বস্তিতে নেই শাসকদল। আজ বাঘমুণ্ডির সভায় কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতকে হারানোর ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীরা বলছেন, পুরুলিয়া নিয়ে শাসক শিবিরের মাথাব্যথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩ দিনে ৮টি জনসভা। সঙ্গে পদযাত্রা। প্রচারে জেলার সব বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সফরসূচিই বলে দিচ্ছে তাঁর নজরে পুরুলিয়া।


২০১১-এ কংগ্রেস-তৃণমূল জোট পুরুলিয়ার সাতটি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়। পাঁচটি আসন দখল করে তৃণমূল। দুটি আসনে জেতে কংগ্রেস। বাকি দুটি আসন যায় বামেদের দখলে। গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট পুরুলিয়া জেলায় নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছিল। অধিকাংশ আসনেই জয়ের ব্যবধান ছিল কম। মানবাজার ও কাশীপুরে জোট প্রার্থীরা পাঁচ হাজার বা তার কম ভোটে যেতেন। পারায় জোট প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ছশো।


২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়ার সাতটি আসনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। একটি করে আসনে এগিয়ে ছিল বাম ও কংগ্রেস। আপাতদৃষ্টিতে লোকসভা ভোটের পরিসংখ্যান বলছে পুরুলিয়ায় শাসকদলের পাল্লা ভারি। কিন্তু, জোটের অঙ্কে উল্টে যাচ্ছে হিসেব-নিকেশ। বলরামপুর, বাঘমুণ্ডি, জয়পুর, পুরুলিয়া এবং পারা। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে চতুর্মুখী লড়াইয়ে বাম-কংগ্রেসের ভোট যোগ করলে দেখা যাচ্ছে জেলার এই পাঁচটি বিধানসভা আসনে তৃণমূলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে তারা। শতাংশের হিসেবে রঘুনাথপুরে তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেসের মিলিত ভোট প্রায় সমান। যদিও বান্দোয়ান, মানবাজার এবং কাশীপুরে ছবিটা অন্য। লোকসভা ভোটে এই তিন কেন্দ্রে  বাম-কংগ্রেসের মিলিত ভোটের চেয়েও বেশি ভোট পায় তৃণমূল।


লোকসভা, বিধানসভা দুই ভোটেই বাঘমুণ্ডিতে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখে কংগ্রেস। বলরামপুর, জয়পুর, পুরুলিয়া আসনও তাদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। রাজনৈতিক মহলের মতে, গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভোট ঘাসফুলে যাওয়ায় পুরুলিয়ায় ভাল ফল করে জোট। ভোটব্যাঙ্ক অনেকটা ধসে গেলেও জেলায় বামেদের শক্তি ফেলে দেওয়ার মতো নয়।