ওয়েব ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে পা দিয়েই অগুনতি মানুষের ভালবাসায় বাঁধা পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রাপথের দুধারে মহিলা থেকে শিশু, ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ, উপচে পড়ল ভিড়। সচরাচর যা করেন না, তাও করলেন তিনি। অটোগ্রাফ দিলেন। বাগডোগরা থেকে জলপাইগুড়ি যাওয়ার ৪৫ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগল সাড়ে ৩ ঘণ্টা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাগডোগরা থেকে জলপাইগুড়ি। ৫৩ কিলোমিটার পথ। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে সময় ধরা হয়েছিল ৪৫ মিনিট। সেই মতো সাড়ে ৩টেয় নির্ধারিত ছিল বৈঠকের সময়। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে একটুও সময় নষ্ট করেননি মুখ্যমন্ত্রী। সোজা গাড়িতে উঠে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা। জলপাইগুড়ি ঢোকার মুহূর্তে গাড়ির গতি তখন ৬০-৬৫ কিলোমিটার। হঠাত্‍ই থমকে গেল কনভয়। কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়। অসংখ্য মহিলা। (নারদ বিজেপির প্ল্যান, ইচ্ছে করে করানো হয়েছে: মমতা)


গাড়িতে বসেই তাঁদের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। এগোচ্ছে গাড়ি। রাস্তার দুধারে মানুষের ঢল। ২৫ কিলোমিটার রাস্তায় শুধুই কালো কালো মাথা। তাদের সামলাতে রীতিমতো নাভিশ্বাস পুলিস-প্রশাসনের। বাচ্চাদের আবদার মেনে সইও বিলোলেন তিনি। সচরাচর যা তিনি দেন না। একটি স্কুলের সামনে দাঁড়াল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ মন দিয়ে শুনলেন। 


একটা সময় লাল দুর্গ হিসাবে পরিচিত ছিল জলপাইগুড়ি। চা বাগানগুলো ছিল বাম আন্দোলনের আঁতুরঘর। আদিবাসীরা একটাই রং চিনত। সেটা লাল। কিন্তু ২০১১-র পর থেকে বদলে গেছে সেই রং। শক্তিশীলা হয়েছে তৃণমূল। এরই মধ্যে বাগানগুলিতে বিজেপি কিছুটা সংগঠন বানানোর মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে সেদিকে যে তীক্ষ্ণ নজর, তার প্রয়াস স্পষ্ট। জলপাইগুড়িতে বৈঠকে বসেই আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য কাউন্সিল গঠন করে অসংখ্য পরিকল্পনা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে চা বাগান নিয়ে কেন্দ্রের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।