ওয়েব ডেস্ক: দল বা সরকারের ইমেজে আর কোনও দাগ বরদাস্ত করা হবে না। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সেটাই পরিষ্কার করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানালেন পুলিস-প্রশাসনের অপদার্থতা বা দলের নেতাদের খেয়োখেয়িতে সাধারণের দুর্ভোগ, আর মানবেন না তিনি।
 
কখনও বারাকপুর কখনও বিধাননগর, কখনও আবার বনগাঁ-বসিরহাট। উত্তর চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই উঠছে একের পর এক অভিযোগ। 'আর চলবে না'।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে উত্তর চব্বিশ পরগনার প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকেই মমতা জানিয়ে দিলেন এসব আর চলবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য পরিবহনে ঝোড়ো উন্নয়ন চায় সরকার
 
শুক্রবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিস প্রশাসনের কর্তারা। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন এমন বেহাল দশা জেলার আইন-শৃঙ্খলার? পুলিস প্রশাসন করছেটা কী?এসব আর বরদাস্ত করা যাবে না। বড় জেলা। একেক প্রান্তের একেক রকম চরিত্র। সে দিকে খেয়াল রেখে কাজ করুন।


নজরে সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য। শুধু পুলিস প্রশাসনই নয়। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমক খেলেন কাকলী ঘোষ দস্তিদার, সুজিত বসু, সব্যবসাচী দত্তরা। বৈঠকের পর তিনজনকে আলাদা করে ডেকে নিজের ক্ষোভ জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, এসব কী হচ্ছে? সিন্ডিকেটের জন্য সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়বে কেন? নেতাদের খেয়োখেয়িতেই দুর্ভোগ বাড়ছে। এসব আর করা যাবে না।


সিন্ডিকেট সমস্যার সমাধানে প্রশাসনকে কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, রাজনীতির রং দেখবেন না, কড়া হাতে সিন্ডিকেট সমস্যার সামাল দিন। বৈঠকে পুরসভাগুলির কাজ নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন কোথায় হচ্ছে? পুরসভার কাজ কি প্রোমোটিং?


২১১-আসনের দাপুটে জয় হলেও উত্তর চব্বিশ পরগনাতেই তিন মন্ত্রীর পরাজয়। হেরেছেন মদন মিত্রর মতো হেভিওয়েটও।
সিন্ডিকেট-তোলাবাজি-আর অন্তর্ন্দ্বন্দ্ব প্রতি মূহর্তে এই জেলায় তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দল যাতে আর কালিমালিপ্ত না হয়, তার জন্য সেকেন্ড ইনিংসের শুরু থেকেই কড়া হাতে রাশ টানলেন মমতা ।