ওয়েব ডেস্ক : দল ভাঙিয়ে অধীর গড়ে কিস্তিমাত শুভেন্দুর। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা পরিষদ কার্যত ঘাসফুলের দখলে। বাকি নামমাত্র আনুষ্ঠানিকতা। সভাধিপতিকে দলে টানতে না পারায় ঈদের পরই জেলা পরিষদে অনাস্থা আনছে তৃণমূল। জঙ্গিপুর, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, বেলডাঙা পুরসভার পর এ বার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদেরও দখল নিচ্ছে তৃণমূল।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের ৭ কংগ্রেস সদস্য। শিবির বদল করে ৩ বাম সদস্যও গেলেন ঘাসফুলে। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের আরও ১০ সদস্য ঘাসফুলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৯। আরও ৭ জন দল ছাড়ায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা কমে হল ১৪। এদিকে, আরও ৩ জন দল ছাড়ায় বামেদের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১৭।


জেলা পরিষদ সদস্য কমলেশ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভা নির্বাচনে ভরতপুর থেকে জয়ী হওয়ায় এখন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ৬৯। ফলে, ম্যাজিক ফিগার ৪৫ পেরিয়ে আরও ৪ আসন ছিনিয়ে নিয়ে ক্ষমতা দখলের পথে তৃণমূল কংগ্রেস।    


আরো পড়ুন- সম্ভবত আজই মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ দখলে আসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের


২০১৩-য় পঞ্চায়েত ভোটে ৭০ আসনের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে মাত্র একটি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। অন্য দলের সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান করিয়ে তিন বছরের মধ্যেই তা পৌছে গেল ৩৯-এ। অধীর চৌধুরীর লোকসভা কেন্দ্র বহরমপুরের মধ্যে ভরতপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ১২ জন কংগ্রেস সদস্যও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস সদস্যদের দলে টেনে ভরতপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করেছে তৃণমূল।


মালদা-মুর্শিদাবাদে দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েই কংগ্রেসকে সাফ করার কাজটা শুরু করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মালদা জেলা পরিষদ চলে যাওয়ার পর এ বার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদও কংগ্রেসের হাতছাড়া হওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা। যেখানে যতটুকু কংগ্রেসের অস্তিত্ব আছে, খুঁজে খুঁজে তার সবই ঝোলায় পুরছেন শুভেন্দু। অধীর গড়ে জেলা পরিষদ কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে কফিনে শেষ পেরেকটাও পুঁতে দিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহল বলছে, শুভেন্দু যেভাবে এগোচ্ছেন তাতে বিধান ভবনের নেতাদের বিনিদ্র রজনীর সংখ্যা বাড়বে বই কমবে না।