ওয়েব ডেস্ক: ঠেকে শিখল প্রশাসন। সমুদ্রে ডুবে তিন পর্যটকের মৃত্যুর জেরে পুলিসি তত্‍পরতা মন্দারমনিতে। সৈকত লাগোয়া স্টলগুলিতে আবগারি দফতরের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মদ। মদ খেয়ে সি-বিচে পর্যটকদের তাণ্ডব রুখতে চলছে কড়া নজরদারি। নিখোঁজ দুই পর্যটক, লোকেশ মেরহোত্রা ও বিনয় চৌধুরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে আজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেঘলা আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র। জলে নামতে নিষেধ করেছিলেন সি-বিচে থাকা পুলিসকর্মীরা। কিন্তু সেকথা কানেই তোলেনি কলকাতা থেকে যাওয়া আট তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর দলটি। জলে নেমে পড়েন তাঁরা। শুরুতেই তলিয়ে যান সল্টলেকের লোকেশ মেহরোত্রা ও তেঘরিয়ার বিনয় চৌধুরী। বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় পাথরের ওপর আছড়ে পড়েন নিউটাউনের বাসিন্দা সুমন্ত্র ব্যানার্জি। মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবারই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার উদ্ধার হয় লোকেশ মেরহোত্রা এবং বিনয় চৌধুরীর দেহ। অভিযোগ, মদ খেয়ে বেসামাল অবস্থায় সমুদ্রে নামেন তাঁরা। তার জেরেই বিপত্তি।


আরও পড়ুন এক হেলিকপ্টার আর তিন প্রিয় ক্রিকেটার


শনিবার রাত থেকেই মন্দারমনির বিচে ছিল কড়া নজরদারি। ওয়াচ টাওয়ার থেকে শুরু পুলিস কিয়স্ক। রাতভর মোতায়েন ছিল পুলিস। সকাল থেকে পুলিসি তত্‍পরতা আরও বেড়েছে। পর্যটকদের সতর্ক করতে বিচে দফায় দফায় মাইকিং করেছে পুলিস। কোমর সমান জলের চেয়ে বেশি গভীরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।


সি-বিচেই একের পর এক স্টল। সেখান থেকেই পর্যটকদের জন্য রয়েছে ঢালাও মদের জোগান। রবিবার অভিযানে নামে আবগারি দফতর। সি-বিচের স্টল থেকে, ঝোপের আড়াল থেকে উদ্ধার হয়েছে দেশি-বিদেশি মদ। এখানেই থেমে থাকেনি পুলিস। সি-বিচে পর্যটকদের ভিড়ে মিশে যান সাদা পোশাকের পুলিসকর্মীরা। সন্দেহ হলেই পর্যটকদের ধরে রীতিমত গন্ধ শুঁকে তারা পরখ করে নিয়েছেন, কেউ মদ খেয়ে বিচে এসেছেন কিনা।


আরও পড়ুন ১০ টাকার কয়েন সম্পর্কে ছড়ানো গুজবটি ভুয়ো


এই প্রথম নয়। মদ্যপ, বেসামাল পর্যটকদের জন্য বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে মন্দারমনি। তিন পর্যটকের মৃত্যুর পর তত্‍পর পুলিস-প্রশাসন। কিন্তু এই তত্‍পরতা কতদিনের? ফের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এখনও ত্রস্ত মন্দারমনি।