ওয়েব ডেস্ক: নন্দীগ্রাম। ক্ষমতার পালাবদলের মাইলস্টোন। নন্দীগ্রামের তেখালি ব্রিজের গায়েই  গোকুলনগর। সুবেদার আদিত্য বেরার বাড়ি। অবসরের পর নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া। লড়াই, আন্দোলন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে কীভাবে লড়াই চালাতে হবে তা হাতে কলমে কাস্তে ধরা কৃষকদের শিখিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ফৌজি আদিত্য বেরা। কাস্তে ছেড়ে বেয়নটের লড়াই শুরু। তারপর হলদি নদীর বুক দিয়ে বয়ে গেছে সময়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নন্দীগ্রাম পুনর্দখল অভিযান। সোনাচুড়া দিয়ে করপাড়ায় শান্তি মিছিলের সামনেই ছিলেন আদিত্য বেরা । হঠাত্‍ই খেজুরির দিক থেকে ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। বারুদের গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন আদিত্য বেরা। সেখান থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যায় কারা। তারপর থেকেই নিরুদ্দেশ জমি আন্দোলনের নেতা। নিহতদের তালিকায় নাম ওঠেনি আদিত্য বেরার । মাঝখানে কেটে গেছে দশটা  বছর। এখনও স্বামীর প্রতীক্ষায় তুলসি তলায় প্রদীপ জ্বালেন স্ত্রী। কপালে সিঁদুর। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। নন্দীগ্রামে শহীদ বেদীতে ফুল চড়ে।গোকুলনগরে আদিত্য বেরার বাড়িটা আজও সেই একই রকম। থমথমে। সুদিনের প্রতিশ্রুতি থেকে গেছে অধরা।


ভোট আসে প্রতিশ্রুতি নিয়ে। কেটে গেল আরও একটা ভোট। কিন্তু যাদের হাত ধরে পরিবর্তন, যাদের বাজি রেখে  নন্দীগ্রামে তৈরি হল ইতিহাস,তাদের  কথা কতটা মনে রেখেছে আজকের রাজনীতি?  স্বজনহারা  পরিবারের  দিন কাটে শুধুই প্রতীক্ষায়... সুদিনের প্রতীক্ষা...