ব্যুরো: খাদ্য সুরক্ষার আওতাভুক্ত হওয়ার জন্য প্রতিদিনই বোরো অফিসগুলিতে লম্বা লাইন। গুজব রটেছে অনেকেরই হয়ত বাতিল হবে রেশন কার্ড। বিরোধীরা এই অব্যবস্থার জন্য দুষছে সরকারকে। অভিযোগ তুলেছেন তালিকা নিয়ে রাজনীতিরও। সময়সীমা বাড়ানোর জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। সাধারণ মানুষকে জাতীয় খাদ্যসুরক্ষার আওতায় আনতে শুরু হয়েছে ফর্ম বিলি ও সার্ভের কাজ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে বিপিএল তালিকাভুক্ত নন অথচ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী সাধারণ মানুষও ফর্ম ফিলাপ করে  খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আসতে পারেন। আগামী একত্রিশে অগাস্ট এই ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন।  ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, বোরো অফিসে মানুষের লম্বা লাইন।   


খাদ্য সুরক্ষায় এপিএল বিপিএল তালিকাভুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে উঠেছে। বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে সবুজ ও সাদা ফর্ম নিয়েও। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, আর্থ সামাজিক ও জাতিগত জনগণণা তালিকায় রয়েছে, অথচ  জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের যোগ্য তালিকায় নাম থাকা উচিত, কিন্তু তা নেই। তাঁরা সবুজ আবেদপত্র জমা দেবেন। 


আর্থ সামাজিক ও জাতিগত জনগণণা তালিকায় নথিভুক্ত নেই, অথচ ভর্তুকি যুক্ত খাদ্য শস্য পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা দরখাস্ত করবেন সাদা আবেদনপত্রে। 


একই সঙ্গে চলছে সার্ভে। এই সার্ভের মাধ্যমেই এপিএল বিপিএল তালিকা তৈরি হবে। 


গুজব ছড়িয়েছে, এই সাদা আবেদনপত্র  না ভরলে বাতিল হয়ে যাবে রেশন কার্ড। তবে তেমন কোনও সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।  


কেন্দ্র জানিয়েছে রাজ্যের ৬ কোটি মানুষকে এই খাদ্য সুরক্ষার আওতায় আনা হবে। আপাতত রাজ্য পাঁচ কোটি আঠাশ লক্ষ মানুষের নাম তালিকাভুক্ত করেছে।  আগামী একত্রিশে অগস্ট এই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তবে রাজ্যে বন্যা এবং নানা কারণে এই সময়সীমা বাড়ানোরও দাবি উঠেছে।