ওয়েব ডেস্ক: জ্যোতিষির বিধানে সাজছে উপাচার্যের বাসভবন। বাস্তু মেনে খোলনলচে বদলাচ্ছে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্যের ঘর। খরচ ২৫ লাখ টাকা। নতুন মোবাইল, ঘর সাজাতে টুকিটাকি খরচ আরও কয়েক লাখ টাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বসস্থানের নৈঋত কোণে পুকুর শুভ নয়। কোষ্ঠী ঠিকুজি তত্ত্বতলাশ করে রায় দিয়েছেন জ্যোতিষি। জ্যোতিষি আবার যে কে সে নয়। স্ত্রীর নিজের ভাই। অতএব পুকুর বোজানো হোক। ফরমান জারি করেছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধরণীধর পাত্র। কিন্তু পরিবেশ দফতর এসব যুক্তি শুনবে কেন। পুকুর বোজানোয় সটান না করে দিয়েছে। আপাতত পুকুর চারদিকে উঁচু করে ঘিরে দোষ খণ্ডন করা হয়েছে।


আরও পড়ুন দার্জিলিংয়ে বহুতল ভেঙে হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের


চলতি বছরের ৯ ই জুন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন ধরণীধর পাত্র। যোগ দিয়েই একেরপর এক পরিবর্তন। সবকিছু বাস্তু মতে। খোলনলচে পাল্টে ফেলেছেন তাঁর অফিস ঘর। আগের উপাচার্য যেদিকে মুখ করে বসতেন তা নাকি বাস্তু মতে শুদ্ধ নয়। বাস্তু শুদ্ধ করতে বদল হয়েছে চেম্বারের সবকিছু। শুধু চেম্বারেই থেমে থাকেনি বাস্তুর কারিকুরি। বদল হয়েছে বাংলোর সবকিছু। বাথরুম, ঠাকুরঘর, শোয়ার ঘর। আসবাবপত্র সব।


কিন্তু এসব তো এমনি এমনি হয়না। খরচ করতে হয়। আর এই খরচ নিয়েই বেধেছে গণ্ডগোল। অভিযোগ, কোনওরকম আইনি পদ্ধতি না মেনেই উপাচার্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার কাজ করাচ্ছেন নিজের বাসস্থান ও অফিসের জন্য। তবে টেন্ডার একটা ডেকেছিলেন বটে। কিন্তু সে লোক দেখানো টেন্ডার। ডাকার আগেই নাকি অর্ধেকের বেশি কাজ কমপ্লিট।


এসব তো বাস্তুর জন্য। ধরণীধর পাত্রের শখ আহ্লাদও কম নয়। কেনা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা দামের নতুন মোবাইল, যদিও আগের মোবাইলটিও বেশ দামি। মড্যুলার কিচেনের সব ফার্নিচার, সেগুন কাঠে ৬ জনের ডাইনিং টেবিল চেয়ার, সেগুন কাঠের সেন্টার টেবিল, একাধিক সোফা সেট, নতুন ফ্রিজ যদিও আগে থেকে দুটি ফ্রিজ ছিল, ৪০ ইঞ্চির কালার টিভি, নতুন দু টনের এসি মেশিন, দামি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, গার্ডেন চেয়ার, চিমনি আরও অনেক কিছু। সব কিছু মিলিয়ে খরচ প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।


আরও পড়ুন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ না দেওয়ায় কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ


উপাচার্যের এই বনেদিয়ানায় তিতিবিরক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, যেখানে পর্যাপ্ত হস্টেল নেই। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শুধু নেই নেই হাহাকার। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এসব কি আদৌ মানায়?