বর্ধমান: বর্ধমানকাণ্ডে তদন্তে আজ মঙ্গলকোটে  তদন্তকারীরা। কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত? সব খবর এক সঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

TOP FIVE DEVELOPMENT:


১. বর্ধমানকাণ্ডের রহস্যের জাল ভেদ করতে আজ মঙ্গলকোট পৌছল এনআইয়ে ও এনএসজি টিম। সকাল সোয়া দশটা নাগাদ মঙ্গলকোট থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়েই তল্লাসি চালানো হয় খাগড়াগড়কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত  ইউসুফের বাড়িতে। তল্লাসি চলে ইউসুফের  শ্বশুর জামাত শেখের বাড়িতেও।  এনআইএ ও এনএসজির সঙ্গে স্নিফার ডগ সমেত রয়েছে বম্ব স্কোয়াডও।  জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জামাত শেখকে। জামাত শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু সাদা তার। ওই তার দেখে গোয়েন্দাদের অনুমান, বিদেশ থেকে আনা হয়েছিল তারটি।


২. শিমুলিয়ার ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত সকলের বাড়িতেই দিনভর তল্লাসি চালানো হবে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।  এর আগে মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ার ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তল্লাসি চালিয়ে প্রচুর তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার করে NIA।  উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ জেহাদি প্রচার পুস্তিকা। উদ্ধার করা হয় বিস্ফোরক তৈরি করার বইপত্রও। প্রতিষ্ঠানটি চালাত জঙ্গি মডিউলের অন্যতম সন্দেহভাজন নেতা ইউসুফ ও তার স্ত্রী আয়েশা।


৩. পাঁচ বাংলাদেশীকে হাতেনাতে ধরলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের মোহিনী গ্রামে। পরে পাঁচজনকেই তুলে দেওয়া হয় বিএসএফের হাতে। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। অন্যদিকে আব্দুল জব্বর নামে আরেক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানার পুলিস। ধৃতের কাছে কোনও পাসপোর্ট, ভিসা বা অন্যকোনও পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। খাগড়াগড়কাণ্ডের সঙ্গে ধৃতের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।  


৪. ২০১৩য় পাটনায় মোদীর সভায় বিস্ফোরণের পিছনেও কি রয়েছে বর্ধমান মডিউলের যোগসূত্র। ক্রমশ এই সন্দেহ তীব্র হচ্ছে NIA তদন্তকারীদের। নিশ্চিত হতে, দুই জায়গা থেকে পাওয়া বিস্ফোরক ও রাসায়নিকের নমুতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা জেনেছেন পাটনা বিস্ফোরণের পিছনে ছিল সিমির মধ্যপ্রদেশ মডিউল। বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে ধরা পড়েছে হায়দর ও মুজিবুল্লা নামে দুই সিমি সদস্য। দুজনেই সিমির শীর্ষ নেতা হায়দর নাগোরির অনুগামী। হায়দর ও মুজিবুল্লাও ঝাড়খণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে পাটনা বিস্ফোরণের চক্রান্ত করেছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, বর্ধমানের জঙ্গি মডিউলের যোগসূত্রও মিলেছে ঝাড়খণ্ডে। দুটি মডিউলে কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  


৫. পশ্চিমবঙ্গ-অসম ছাড়াও ঝাড়খণ্ডে সক্রিয় ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর স্লিপার সেল।  খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল NIA। অসমের বরপেটা থেকে ধৃত সইফুল ইসলামকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, খাগড়াগড়ের গ্রেনেড কারখানা ও শিমুলিয়ার অবৈধ মাদ্রাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। শিমুলিয়ার অবৈধ মাদ্রাসা ও ঝাড়খণ্ড থেকেই অস্ত্র চালানো ও বিস্ফোরক বানানোর প্রশিক্ষণ পেয়েছিল সইফুল। শুধু তাই নয়, অসমের বরপেটাতে বিস্ফোরক বাহক কওসরের নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলেও সইফুলকে জেরায় জেনেছেন তদন্তকারীরা। সইফুলের সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছে রফিকুল নামে এক ব্যক্তি। করিমপুরের অবৈধ মাদ্রাসায় শাকিল ও রাজিয়ার বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল যে রফিকুল, সেই ব্যক্তি ও বরপেটায় ধৃত ব্যক্তি একই লোক কি না তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।