ওয়েব ডেস্ক : মান আর হুঁশ, দুই'ই বোধহয় তলানিতে। মানুষ, আজ অমানুষ। দুর্ঘটনায় জখম, রক্তাক্ত ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে ছটফট করলেও, যেখানে মুখ ফিরিয়ে নেয় সবাই। সাহায্য দূরে থাক, দাঁড়িয়ে থেকে-দেখেশুনে চলে যান সক্কলে।  শেষঅবধি হাসপাতাল পর্যন্ত পৌছলে, ডাক্তারকে যেখানে বলতে হয়, আর একটু আগে আনা গেলে, হয়ত কিছু করা যেত!   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাস্তায় পড়ে ছটফট করছেন সাইকেল আরোহী। দেখেও দেখল না কেউ। চোখ খুলেও অন্ধ সবাই। কেউ না দেখতে চাইলেও, সবটাই নজরবন্দি রাস্তার সিসিটিভির।


আরও পড়ুন- ধূপগুড়িতে গণধর্ষণের অভিযোগ


কয়েক মিনিট আগেও সব ঠিক ছিল বীরেন নায়েকের জীবনে। সাইকেলে যাচ্ছিলেন মালিপাঁচঘড়ার ভোটবাগানের এই বাসিন্দা। আচমকা জে এন মুখার্জি রোডে ধাক্কা লরির। লুটিয়ে পড়েন রাস্তায়। রক্তাক্ত শরীর। দেখলেন পাশে দাঁড়ানো এই দোকানদার। সাইকেলে করে ইনিও পাশ দিয়েই গেলেন। সব দেখলেন। তবু থামলেন না। দেখতে দেখতে ভিড় জমে গেল। সবাই দেখছে। যেন সার্কাস। কিন্তু আহত-রক্তাক্ত মানুষটিকে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ! নাহ। তা কারোর মধ্যে নেই।

শেষপর্যন্ত  প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর, পুলিস এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। প্রথমে টিএল জয়সওয়াল হাসপাতাল। সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রচুর রক্তক্ষরণ। শরীরে গভীর আঘাত। ডাক্তারদেরও আক্ষেপ, হয়ত আগে আনা হলে প্রাণ বাঁচানো যেত। যদি একটু মানবিকতাও দেখাতেন এদের মধ্যে কেউ, এড়ানো যেত এই মৃত্যু। কিন্তু গেল না। বরং রাজ্য দেখল আরও এক অমানবিকতার নজির।