ওয়েব ডেস্ক: অসুবিধা হবে জানাই ছিল। কিন্তু তা বলে এতটা, ভাবতে পারেননি সাধারণ মানুষ। আটই নভেম্বর রাতের সাধুবাদ ক্রমশ ফিকে হচ্ছে। লাইনে দাঁড়ানো মানুষের একটাই প্রশ্ন আর কতদিন ?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কালোবাজারিদের ল্যাম্পপোস্টে ঝোলানোর কথা বলেছিলেন জওহরলাল নেহেরু। স্বাধীনতার সময়কার কথা। প্রায় সত্তর বছর পর আরেক প্রধানমন্ত্রী অর্থ বাজারের কালো আটকাতে পাঁচশ,হাজারের নোট নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। এর ঝাঁঝ যে কতটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন সাধারণ মানুষ।


সমস্যাটা জীবন যন্ত্রনায় পরিণত হয়েছে, হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ওষুধের দোকানে। একশ টাকার নোটে বিল মেটাতে হবে, তবেই হাসপাতালে ভর্তি। এমন মুচলেকা দিয়েই নার্সিংহোম, হাসপাতালে রোগী ভর্তির ছাড়পত্র মিলছে উত্তর দিনাজপুর। একশ টাকায় বিল মেটাতে না পারায় ছুটি দেওয়া হচ্ছে না রোগীকে। রায়গঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালে এক রোগীর বিল হয়েছে তেইশ হাজার টাকা। চেকেও  সেই টাকা নিতে চাইছে না হাসপাতাল ।


সরকারি হাসপাতালে কোনও সমস্যা নেই। অন্য কোথাও অসুবিধে হলেও সরকারি হাসপাতালে পাঁচশ ও এক হাজারের নোট দেওয়া যাবে, এমনটাই জানতেন সাধারণ মানুষ। সেই জানাটা যে ভুল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে বুঝছেন সাধারণ মানুষ। হাসপাতালের এক্সরে কাউন্টারে পাঁচশ, হাজারের নো এন্ট্রি। নাজেহাল রোগীরা। শুধু মেদিনীপুর নয় বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, সব জেলাতেই এক অবস্থা।


শুধু হাসপাতাল নয়, মৃত্যুর পর,----সেখানেও মুদ্রা রাক্ষস। শেষকৃত্য করতেও ঝামেলার অন্ত নেই। চুঁচুড়ার কলেজ মোড়ের কৌশিক দত্তের পিতৃ বিয়োগ হয়েছে গত সোমবার। ১৯ তারিখ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। কিন্তু অনর্থ বাধিয়েছে অর্থ। যে কোনও সামাজিক কাজে সেই বিয়ে হোক কিম্বা অন্নপ্রাশন, ঝামেলায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।