ওয়েব ডেস্ক : পরিবর্তনের পটভূমিতে তৃণমূলের তুরুপের তাস ছিল সিঙ্গুর। প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে সিঙ্গুর ছেড়ে চলে যায় টাটা কম্পানি। আজ ৫ বছর পার। আবার বিধানসভা নির্বাচন। কী হবে সিঙ্গুরে? ক্ষমতায় এলে জমি ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তত্কালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু জমি ফেরত পাননি সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক জমিদাতারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জমি ফেরতের লক্ষ্যে ক্ষমতায় এসে জমিবিলও পাস করিয়েছিল মমতার সরকার। কিন্তু, আইনি জটে পড়ে সে বিল এখন সুপ্রিমকোর্টে। অন্যদিকে, সিঙ্গুর নিয়ে কার্যত ‘দায়ভার’ ছেড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আর সেখানেই আঘাত হেনেছে বিরোধীরা, মূলত বামেরা।


যে সিঙ্গুর একদিন তাঁকে লড়াইয়ের ময়দান থেকে ছিটকে দিয়েছিল, সেই সিঙ্গুরে দাঁড়িয়েই জনসভায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সদর্পে ঘোষণা করেছেন, আবার সরকারে এলে সিঙ্গুরে কারখানা হবেই। জোর সওয়াল করেছেন শিল্পায়নের পক্ষে। বাম কর্মী-সমর্থকদের এককাট্টা করতে CPI(M)-এর জাঠা কর্মসূচির কেন্দ্রেও ছিল সিঙ্গুর, “সিঙ্গুর থেকে শালবনী।” নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই জোটপ্রার্থী রবিন দেব জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন সিঙ্গুরে। এমনকী, প্রথমদিন প্রচারে তাঁকে ন্যানো চড়ে প্রচারে দেখা যায়।


কিন্তু, এতকিছুর পরেও কী বামেদের হাতে আসবে সিঙ্গুর? জোটপ্রার্থী রবিন দেব কী সিঙ্গুরে জিতবেন? ভোট ফলাফলের পাটিগণিত বলছে, গত ৩ বিধানসভা নির্বাচন (২০০১, ২০০৬, ২০১১)-এ এই আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারেও সিঙ্গুরে শাসকদলের প্রার্থী গত ৩ বারের বিজয়ী ‘মাস্টারমশাই’ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। সমীক্ষা বলছে, ময়দানে কেউ কাউকে একচুলও জমি ছাড়তে নারাজ। জোটপ্রার্থীর গায়ে যেমন ‘বহিরাগত’ তকমা রয়েছে, তেমনই সিঙ্গুরে বইছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চোরাস্রোত। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দূরে রেখে এই ‘প্রেস্টিজ ফাইট’ জিততে নির্দেশ দলনেত্রীর। এখন অপেক্ষা ১৯ মে-র।