ওয়েব ডেস্ক: বহুদিন পর, বিছনায় ঘুমোলেন। তবে হাসপাতালের বেডে। কারণ এত দিন ঠাঁই ছিল রাস্তায়। বনগাঁর অভিমন্যু কুণ্ডু  দিনমজুর খেটে ছেলেদের বড় করেছিলেন। গ্রামের জমি বাড়ি যা ছিল বিক্রি করে তুলে দিয়েছিলেন ছেলেদের হাতে। এখন  সেই ছেলেরাই ঘর থেকে বের করে দিয়েছে । তিনদিন ধরে বসিরহাট  হাসপাতাল  চত্বরে পড়েছিলেন। শেষে তাঁর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালে। এখন হাঁটার ক্ষমতাটুকুও নেই। কিন্তু যখন বয়েস ছিল। যখন ছেলেরা ছোট ছিল।  তখন এই শরীরটাই পাহাড় ভাঙত। সেই ছোট ছেলেরা এখন বড় হয়েছে।বৃদ্ধ হয়েছে বাবা। হাপ ধরে যায় অল্পে। মজুর খাটা জীবনে পেনশনের সৌভাগ্য নেই। হয়তো ভেবেছিলেন ছেলেরাই পেনশন, ছেলেরাই প্রভিডেন্ট ফান্ড। সেই ছেলেরাই দেখেনি। দেখতে যাতে না হয় বাড়ি থেকেও তাড়িয়ে দিয়েছে  অশীতিপর বাবা অভমন্যু কুণ্ডুকে। এখন ভিক্ষার জীবন। কিন্তু আশি পেরানো অবসন্ন শরীর সইতে পারেনি। বসিরাহাট জেলা হাসপাতালে পড়ে রয়েছেন তিন দিন ধরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন দেশের সবথেকে রোম্যান্টিক ঋষিমুনি, অপ্সরা ধ্যান কী ভাঙাবে, উর্বশীরাই তাঁর প্রেমে পাগল!


এত মানুষের দেশ, কে খেয়াল রাখে কার। রাখেনিও। হাসপাতালে পড়ে ছিলেন বনগাঁরা এই বৃদ্ধ। ভিক্ষা করতে করতে চলে এসেছিলেন বসিরহাটে। রাতের আশ্রয় নিয়েছিলেন হাসপাতালের চত্বরে। আর উঠতে পারেননি। পড়েছিলেন। তিনদিন পর মুমুর্ষু এই বৃদ্ধের ঠাঁই হল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।


আরও পড়ুন  বিশ্বের সবথেকে বড় ১০ ব্রিজ