ওয়েব ডেস্ক: ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সত্‍বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিস। গতকাল রাত থেকে নিখোঁজ ছিল বছর এগারোর সৌম্যজিত দাস। আজ সকালে হুগলি স্টেশনের কাছে নির্জন এলাকায় উদ্ধার হয় তাঁর রক্তাক্ত দেহ। সত্‍বাবা অরবিন্দ তাঁতিকেই দায়ী করেন সৌম্যজিতের মা সোমা। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে গ্রেফতার অরবিন্দ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হুগলি স্টেশনের কাছে পরিত্যক্ত কারশেড।  রাতে কেন, দিনের আলোতেও লোকজনের দেখা মেলা ভার। শনিবার ভোরে এখানেই উদ্ধার হয় বছর এগারোর সৌম্যজিত দাসের রক্তাক্ত দেহ।


আরও পড়ুন প্রতারণা করে বৃদ্ধার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মেয়ে-জামাইয়ের বিরুদ্ধে


ক্লাস সিক্সের ছাত্র সৌম্যজিত। প্রায় তিন বছর ব্যান্ডেলের কৃষ্ণপুর বাজার এলাকায় দিদার কাছেই থাকত। চুঁচুড়ার মানুষপুরে দ্বিতীয় স্বামী অরবিন্দ তাঁতির সঙ্গে থাকতেন মা সোমা।  শুক্রবার ছেলে এবং মায়ের সঙ্গেই ছিলেন সোমা। অরবিন্দও এসেছিল শ্বশুরবাড়িতে। রাত আটটার নাগাদ বেরিয়ে যায় সে। তারপরই চিপস কিনতে বেরিয়ে যায় সৌম্যজিতও। এরপর  আর  ফেরেনি সৌম্যজিত্‍। রাতভর ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেন সোমা। সঙ্গে ছিল অরবিন্দও। শেষ পর্যন্ত সকালে উদ্ধার হয় সৌম্যজিতের রক্তাক্ত দেহ। মাথা থেঁতলে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সৌম্যজিতকে।


আরও পড়ুন পারিবারিক অশান্তি, সম্পত্তির লোভ, দুইয়ের টানাপোড়েনের বলি ক্লাস সিক্সের ছাত্র


ছেলের খুনের ঘটনায় সরাসরি দ্বিতীয় স্বামী অরবিন্দ তাঁতিকেই দায়ী করেছেন সৌম্যজিতের মা। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী মা সোমাও। ছোট্ট সৌম্যজিতের খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ভাঙচুর হয় সৌম্যজিতের দিদার বাড়ি। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে সৌম্যজিতের সত্‍বাবা অরবিন্দ তাঁতিকে।