ওয়েব ডেস্ক: বাড়িতে অভাব নিত্যদিনের সঙ্গী। তবু অভাব অনটনকে উপেক্ষা করেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন অনিমেশ, অভিষেক, বিপ্লব, অমিত। একে অপরের সঙ্গে পরিচয় নেই ওঁদের। তবে লড়াইয়ের পথটা ওঁদের একই। বাবা সাইকেলে চেপে গ্রামে গ্রামে কাপড় ফেরি করেন। যেদিন বিক্রি হয়, সেদিন উপার্জন। যেদিন হয় না, সেদিন খালি হাতেই ফেরা। অভাবের সঙ্গে ছেলেবেলা থেকেই লড়াই করে গিয়েছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিপ্লব কুড়ি। তবু পড়াশোনাটা বন্ধ করেনি সে। সাফল্য এসেছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছশো একষট্টি নম্বর পেয়ে নজর কেড়েছে এই দুঃস্থ মেধাবী ছাত্র। ভবিষ্যতে ইচ্ছে ডাক্তার হওয়ার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিলিগুড়ির অনিমেশ জলধরের বাবা রিকশা চালান। অভাবের সংসারে ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হতে দেননি। অনিমেশ মাধ্যমিকে ছশো একত্রিশ নম্বর পেয়ে সফল। এখন সে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। অনিমেশের স্বপ্ন পূরণ করতে এগিয়ে এসেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মাধ্যমিকে ছশো উনিশ নম্বর পাওয়ার পর শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নটা আরও জোরালো হয়েছে নদিয়ার আড়ংঘাটা রেল বস্তির অমিত বিশ্বাসের। আর্থিক সঙ্গতি নেই। আগামী দিনে কীভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে অমিত, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন তাঁর পরিবারের কাছে।


বাবা মারা গিয়েছিলেন বছর তিনেক আগে। তারপর মা আর কোনও খোঁজ রাখেনি। অভাবের মধ্যেও বাঁকুড়ার গোপীনাথপুরের অভিষেক নন্দীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর কাকা। অভিষেক কাকার মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। মাধ্যমিকে পঁচাশি শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। কিন্তু এবার! কাকা-ভাইপো ভেবে পাচ্ছেন না উচ্চশিক্ষার টাকা কীভাবে জোগার হবে। যমজ ছেলে মাধ্যমিকে সাফল্য পেয়েছে। তবুও হাসি ফুটছে না জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের পানিকৌরির বাসিন্দা চা শ্রমিক টেপু রায়ের। ছেলে গোবিন্দ আর কৃষ্ণের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় পরিবার।