ওয়েব ডেস্ক: ধর্মঘটের হ্যাঙ্গওভার, আজও চলল রাজ্যে। উত্তেজনা ছড়ায় একাধিক জেলায়, একাধিক কারখানায়। সিটুর যে কর্মীরা ধর্মঘটে সামিল হন, বহুক্ষেত্রে তাঁদের আজ কাজে যোগ দিতে বাধার অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করে, জোর করে কারখানা বন্ধের মতো অভিযোগও উঠেছে INTTUC-র বিরুদ্ধে। তালা ঝোলানো হয় ব্যাঙ্কেও।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবারের সাধারণ ধর্মঘটে এ ছবিও দেখেছিল রাজ্য। দোকান না খোলায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেরানিটোলায় নর্দমার নোংরা-আবর্জনা ফেলে দেওয়া হয় দোকানের সামনে। হ্যাঙ্গওভার কাটল না শনিবারও।


শ্যামদাসপুরের মুরগির খাবার তৈরির কারখানায় এদিন সকাল থেকে দেখা গেল এই ছবি। কারখানায় দুটি শ্রমিক ইউনিয়ন। সিটু ও INTTUC। শুক্রবার কাজে যোগ দেননি সিটু কর্মীরা। INTTUC কর্মীরা কারখারা সচল রাখেন। অভিযোগ, শনিবার সিটু কর্মীরা কাজে যোগ দিতে গেলে INTTUC-র বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। দুপক্ষের অশান্তিতে কারখানা চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাঁকুড়া সদর থানা গিয়ে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


অশান্তির ছায়া হুগলিতেও। ধর্মঘটে নোটিস দিয়ে ডালহৌসি জুটমিল বন্ধ রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। কাজে যোগ দিতে এসেও ফিরে যান অনেকে। সবক শেখাতে শনিবারও কারখানা জবরদস্তি বন্ধ রাখল INTTUC।


ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার বারাকপুর শাখায় তালা ঝোলানো নিয়ে এদিন সকাল থেকে উত্তেজনা চরমে ওঠে। সকালে ব্যাঙ্ক কর্মীরা দেখেন, ব্যাঙ্কের নিজস্ব তালার ওপর আরও একটি তালা ঝোলানো। শুধু ইউবিআই নয় বারাকপুর দেনা ব্যাঙ্কেও তালা দিয়ে দেওয়া হয়। দুটি ব্যাঙ্কেই পরিষেবা শুরু করা যায়নি ঠিক সময়ে। পরে পুলিস এসে তালা ভাঙে। ধর্মঘটের দিন ব্যাঙ্ক খোলা না থাকায়, বনধ বিরোধীরা ব্যাঙ্কে তালা ঝুলিয়ে দেয় কিনা খতিয়ে দেখছে টিটাগড় থানা।