ওয়েব ডেস্ক: ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যু রুখতে বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল ও বন দফতর। ইতিমধ্যেই দুই দফতরের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লাইন থেকে সন্তানকে সরাতে পারেনি। পাচিলের মত দাড়িয়ে গিয়েছিল ট্রেনের সামনে। ভেবেছিল ট্রেন আটকে যাবে। অথবা নিজে মরে প্রাণ বাঁচাবে সন্তানের। দুরন্ত গতির ট্রেনে পরপর কাটা পড়ে মা হাতি সমেত তার দুই সন্তান। দক্ষিণবঙ্গে ট্রেনে কাটা পড়ে হাতি মৃত্যুর ঘটনা এর আগে তেমন একটা শোনা যায়নি। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসে রেল ও বন দফতর। ট্রেনে কাটা আটকাতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


১. হাতি সংক্রান্ত  সতর্কতা এসএমএস রেল আধিকারিকদেরকেও পাঠাবে বন দফতর।


২. রেল ও বন দফতরের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে দুই দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি গড়া হচ্ছে।


৩. নির্দিষ্ট সময় অন্তর কমিটির সদস্যদের মধ্যে বৈঠক হবে।


৪. হাতি চলাচলের পথ নির্ধারণ করে রেল লাইন বরাবর সতর্কতা বোর্ড দেওয়া হবে।


৫. এই নির্দিষ্ট এলাকায় ট্রেনের গতি ২০ থেকে ৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ট্রেন চালানো হবে।


৬. ট্রেন চালকদের হাতি নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।


এই ব্যবস্থা গুলি নেওয়া হলে, আগামি দিনে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর ঘটানো অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।