ওয়েব ডেস্ক:    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

"ভক্তি আসে রিক্তহস্ত প্রসন্নবদন-
অতিভক্তি বলে, দেখি কি পাইলে ধন।
ভক্তি কয়, মনে পাই, না পারি দেখাতে।
আমি পাই হাতে হাতে।'


ভক্তির সাধক ভক্তের সাধন, প্রেমের ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১৮০ তম জন্ম জয়ন্তী আজ। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৬ সালে হুগলীর কামারপুকুরের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি।তাঁর পিতা  ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় ও মা চন্দ্রমণি দেবী।


কথিত আছে, তিনি যখন জন্মগ্রহন করেছিলেন, কামারপুকুর বাটিতে তাদের শিব মন্দির চন্দ্রালোতে আলোকিত হয়ে উঠেছিল। রামকৃষ্ণদেবের গড়নে ছিল দৈবিকভাব।


পরবর্তীতে পিতার ইচ্ছায় গয়াতে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিষ্ণু মন্ত্রে দীক্ষিত হন। সেই থেকেই পথ চলা শুরু। প্রেমের সারমর্মে দীক্ষিত করতে চেয়েছেন সারা বিশ্বকে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে নিজের অমৃতকথার প্রসার করেছেন রামকৃষ্ণদেবে।


১৮৫৫ সালে রানি রাসমনি রামকৃষ্ণদেবকে দক্ষিণেশ্বর কালি মন্দিরে 'মা কালি'র পূজারি হিসেবে নিয়ে আসেন। 'কালি আমার মা, কালি জগৎ-এর মা', এই মন্ত্র ধ্বনিত হত সারা  দক্ষিণেশ্বরে। এমনকী, তাঁর স্ত্রী মা সারদাকেও মাতৃ রূপে পুজো করেন তিনি। নারী শক্তির প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা-ভক্তি ও সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শন আজও সারা পৃথিবীর কাছে শিক্ষণীয়।   


স্বামী বিবেকানন্দ, কেশব চন্দ্র সেন, প্রতাপ চন্দ্র মজুমদার, শিবনাথ শাস্ত্রী প্রমুখেরা তাঁর মন্ত্র-আদর্শে দীক্ষিত হন।       
 
স্থাপকায় চ ধর্মস্য সর্বধর্মস্বরুপিণে।
অবতারবরিষ্ঠায় রামকৃষ্ণায় তে নমঃ।।  


রামকৃষ্ণকে প্রণাম নিবেদন করা হয় এই মন্ত্রেই। স্বামী বিবেকানন্দ রচিত এই মন্ত্রে বলা হয়েছে, সর্বধর্মস্বরুপ ধর্মের যিনি সংস্থাপক, অবতারগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ,  সেই রামকৃষ্ণ তোমায় প্রণাম।


আজ প্রেমেরঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ১১৮০ তম জন্মদিনে হুগলির কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে বিশেষ পূজাপাঠ, আরতিসহ নানান ভক্তিমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ভোর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে অনুষ্ঠান। দূরদূরান্ত থেকে কয়েক হাজার ভক্ত হাজির হয়েছেন রামকৃষ্ণদেবের জন্মভিটে কামারপুকুরে। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে ভক্তদের আহারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।