ওয়েব ডেস্ক : পুরনো বিবাদ ভুলে ভোটের আগে একজোট হওয়ার বার্তা। অখিল গিরির হয়ে এবার প্রচারে নেমেছেন শুভেন্দু অধিকারী। জোটের ভরসায় টক্কর দিতে মাঠে নেমেছেন সিপিএম প্রার্থী তাপস সিনহাও। শেষ পর্বের ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অপেক্ষায় রামনগর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৭৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত আটটি বিধানসভা নির্বাচনে শাসক-বিরোধী দু-পক্ষই চারবার রামনগরের দখল নেয়। রামনগর এক ও রামনগর দুনম্বর ব্লক নিয়ে তৈরি এই বিধানসভা কেন্দ্র। রামনগরের দুটি পঞ্চায়েত সমিতিই এখন তৃণমূলের দখলে।


২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে রামনগরে সিপিএম প্রার্থীকে সাড়ে ষোলো হাজার ভোটে হারিয়ে দেন তৃণমূলের অখিল গিরি।


২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বামেদের পিছনে ফেলে চৌত্রিশ হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন শিশির অধিকারী।


রামনগরে এবারও ঘাসফুলের প্রার্থী অখিল গিরি। উল্টোদিকে লোকসভা ভোটে হারের পর ফের ভাগ্য পরীক্ষায় সিপিএমের তাপস সিনহা। রাজনৈতিক মহল বলছে, ইভিএমে বিজেপি প্রার্থী থাকলেও রামনগরে সিপিএম-তৃণমূল দ্বিমুখী লড়াই। শাসকদল সার্বিক উন্নয়নের দাবি করলেও নানা ইস্যুতে পাল্টা সরব বিরোধীরা। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি, পর্যটনের সমস্যা, সমুদ্রসৈকতে অবৈধ নির্মাণ, মত্‍স্যজীবীদের অনুন্নয়ন - এসবই প্রচারে তাদের ইস্যু। ভোটারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জয় নিয়ে আশাবাদী দুই প্রার্থীই।


অখিল গিরির সঙ্গে অধিকারী পরিবারের বিবাদের কথা বারবার শোনা গেলেও এবার রামনগরের বিদায়ী বিধায়কের হয়ে প্রচারে নেমেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিমতৌড়ির সভায় অখিল গিরিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁকে জয়ী করার আহ্বানও জানিয়েছেন। রাজনৈতিক মহল বলছে, নারদ-কাণ্ডের পর পূর্ব মেদিনীপুরে সবকটি বিধানসভা আসনে ঘাসফুল ফোটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন শুভেন্দু। অখিল গিরির কেন্দ্রও রয়েছে সেই তালিকায়। রামনগরে জয়-পরাজয়ের ট্র্যাডিশন আর জোটের ভরসায় মাঠে নেমেছে সিপিএমও। সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অপেক্ষা।