ওয়েব ডেস্ক: ফের সরকারি হোমে ধর্ষণ। এক জন নয়, কোচবিহারের শহিদ বন্দনা হোমে ধর্ষণের শিকার দু-দুজন কিশোরী। তাদের একজন এখন অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনায় গ্রেফতার হোমেরই সাফাই কর্মী। তবে প্রশ্ন উঠছে, হোম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও।
   
সরকারি হোমে ধর্ষণ!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজনের বয়স ১২। আরেকজনের ১৩। কোচবিহারের শহিদ বন্দনা হোমে দুই কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হোমের সাফাই কর্মী কচুয়া মিঞা।
 
নৃশংস

 দুজনের ওপরই মাসের পর মাস চলেছে অত্যাচার। অভিযোগ, দিনের বেলায় ছাদে নিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করা হত কিশোরীদের। গত তিন-চার মাস ধরে চলছিল এই কাণ্ড।


৩১ ডিসেম্বর প্রথম এঘটনা সামনে আসে।  এক কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা বিষয়টি জানতে পারেন। দাবি হোম কর্তৃপক্ষের। ততদিনে বারো বছরের ওই কিশোরী, কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ।


দায় এড়াচ্ছে হোম কর্তৃপক্ষ


নিগৃহীতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে, হোম কর্তৃপক্ষের দাবির সঙ্গে মিলছে না এমজেএন হাসপাতালের বক্তব্য।     


হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, ৪ জানুয়ারি সন্ধেয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ওই নিগৃহীতাকে। তাহলে কেন দুদিন আগেই ওই কিশোরীকে ভর্তি করানোর দাবি করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? তবে কি কিছু লুকোনোর চেষ্টায় ব্যস্ত হোম?
হোম সূত্রেই খবর, অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন। এনিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই সামনে আসে, হোমের আরও এক কিশোরী, একইভাবে নির্যাতনের শিকার। অভিযুক্ত সেই, কচুয়া মিঞা। প্রশ্ন উঠছে,দীর্ঘদিন ধরে  চলছিল এই ঘটনা। হোমের বাকি কর্মীরা কী করছিলেন?


 কিছুই টের পেল না হোম কর্তৃপক্ষ? কী করে হোমে ঢোকার অনুমতি পেল একজন পুরুষ কর্মী?


একা কচুয়া মিঞা? নাকি  অন্য কারোর যোগসাজশ ছিল? সরকারি এই হোমে আবাসিক সংখ্যা প্রায় ৮৫। সামনে এসেছে দুই কিশোরীর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। বাকিরা? তারা সুরক্ষিত তো? নাকি এই হোমে  লুকিয়ে আরও বহু অপরাধ!