ওয়েব ডেস্ক: পুলিসের জালে রচপালের PA নাইট ক্লাবের বেআইনি কারবারে মদত ছিল কয়েকজন প্রভাবশালীর। বার চেনের মালিক জগজিত্‍ সিং ও তার দুই কর্মী পরিতোষ ব্যানার্জি ও স্বরূপ ঘোষকে গ্রেফতারের পরই নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিস।  তাদের মধ্যে একজন IPS। ইতিমধ্যেই যাঁর নাম জড়িয়েছে নারদকাণ্ডে। সেইসূত্রে উঠে এসেছে বাগুইআটির বাসিন্দা ধীরজ সরকারের নাম। প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী ও একসময়ের দাপুটে পুলিস কর্তা রচপাল সিংয়ের আপ্ত সহায়ক ধীরাজ এলাকায় বুম্বা নামে পরিচিত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তদন্তকারীদের দাবি, প্রাক্তন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক যোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সময়ে জগজিতকে বাঁচান বুম্বা। শিমার্স বারে গোলমালের পরও জগজিত্‍ বুম্বার দ্বারস্থ হয়। বুম্বা ঝামেলা সালটে দেওয়ার  প্রতিশ্রুতি দেয়। গোটা ঘটনায় বুম্বার যোগ প্রমাণিত হওয়ার পরই জন্মদিনের পার্টি চলাকালীন বাগুইআটির বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। এলাকায় রীতিমতো দাপট দেখাত বুম্বা। বাগুইআটি এলাকায় লালবাতির গাড়ি চড়ে দাপট দেখাত বুম্বা। বিভিন্ন লোককে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আদায় করত। বাগুইআটিতে তৃণমূল কর্মী বুড়ো খুনে মূল অভিযুক্ত বাবাই বিশ্বাসকে গা ঢাকা দিতে সাহায্য।  


সোমবারই  নাইট ক্লাব গোলমালে মূল অভিযুক্ত হায়দার ওরফে ফৈয়াজ আলম ও তার ৩ সঙ্গী রবি, পঙ্কজ ও বিষ্ণুকে ভূটান সীমান্তে জয়গাঁও থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এদিন তাদের আলিপুরদুয়ার  আদালত পেশ করা হয়। ট্রান্সজিট রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে বার মালিক জগজিত্‍ সিংকেও। সব অভিযুক্তকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিস।তদন্তকারীদের ধারণা, বুম্বার মতো আরও কয়েকজন প্রভাবশালী মদতেই বারে বেআইনি কাজ কারবার চালাতেন জগজিত্‍। তাদের চিহ্নিত করে জেরা করাই পুলিসের মূল টার্গেট। 


সেক্টর ফাইভে বার কাণ্ডে গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রী রচপাল সিংয়ের আপ্ত সহায়ক। আজ বাগুইআটির বাড়ি থেকে ধীরাজ সরকার ওরফে বুম্বাকে গ্রেফতার করে পুলিস। অন্যদিকে,হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হায়দার ও তার ৩ সঙ্গীকে ট্রান্সজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে এসেছে পুলিস। কলকাতায় আনা হয়েছে দিল্লিতে ধৃত বার মালিক জগজিত্‍ সিংকেও। 


আগেই নাম জড়ায় এক IPS-এর। এবার সল্টলেক বারে ধুন্ধুমারের ঘটনায় নাম জড়িয়ে গেল প্রাক্তন মন্ত্রী রচপাল সিংয়ের আপ্ত সহায়কের।