ওয়েব ডেস্ক: শুধুই প্রচার। মোবাইলে ছবি। টিভিতে খবর। অতি পরিচিত মুখ দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিকায় তরুণী সিদ্দিকা পারভিন। চিকিত্‍সায় এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। সেই খবরও হয়েছে বিশদে। কিন্তু মোটেই ভাল নেই সিদ্দিকা। মুখ্যমন্ত্রীর দৌলতে মাসে মাসে জোটে চিকিত্‍সার দামি ইঞ্জেকশন। কিন্তু ভাতের বড় অভাব। কলকাতা আসার খরচও তো কম নয়। তবু বাঁচতে চায়। চায় এগিয়ে আসুক সরকার।
নাম - সিদ্দিকা পারভিন
ঠিকানা - বংশিহারী, দক্ষিণ দিনাজপুর
উচ্চতা - সাড়ে আট ফুট
ওজন - ১২০ কিলোগ্রাম
বয়েস -  ২৭
খাবার - সারাদিনে ২ কেজি চালের ভাত ও টিফিন


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন লজ্জা শুধু নারীর ভূষণ, পুরুষের ভূষণ তো নির্লজ্জ হওয়া!


কথা অনেকেই দিয়েছিলেন। প্রচারও হয়েছিল তার। কিন্তু তারপর------তারপর যে হয়নি কিছুই এমনটা নয়। তবে যা হয়েছে তা দিয়ে বংশীহারির অতিকায় তরুণী সিদ্দিকা পারভিনের জীবন বদল হয়নি। কিন্তু  বদলানোর কথাইতো সবাই বলেছিল, সিদ্দিকাও বিশ্বাস করেছিল মান্যিগন্যি মানুষজন যখন পাশে দাড়িয়েছে বদলাবে নিশ্চই। ২০১৩ তে চব্বিশ ঘণ্টায় প্রথম দেখানো হয় সিদ্দিকার খবর। এরপরেই রাজ্যসরকার কলকাতা নিয়ে এসে চিকিত্‍সার ব্যবস্থা করে।এসএসকেএমে চিকিত্‍সা হয় এক মাস। কিন্তু কোনও উন্নতি হয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্রর তত্ত্বাবধানে এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিত্‍সা হয়। পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমারের অস্ত্রপ্রচার হয়।  খাওয়া দাওয়ার খরচ দেন তিনি। কিন্তু সে তো মাস তিনেক তারপর। অতিকায় চেহারায় ক্ষিধেও খুব বেশি। দিনমজুর পরিবার তা জোটায় কী করে। আবার অসুস্থ হয়ে পরে সিদ্দিকা। রাজ্য সরাকরের ব্যবস্থায় চিকিত্‍সা শুরু হয় এসএসকেএমে। মাসে মাসে ইঞ্জেকশন। কিন্তু খাওয়াদাওয়া যাতায়াতের খরচ । তার কোনও ব্যবস্থা নেই। সরকার একটা রেশনের কথা বলেছিল বটে। কিন্তু তা আর মেলে না। সিদ্দিকার পরিবার চাইছে, বিনামূল্যে চিকিত্‍সার সঙ্গে বেঁচেথাকার খাবার টুকু সিদ্দিকাকে দিক সরকার। আরও এক গভীর সমস্যা। সমাজ। মানুষজনের বড় কৌতুহল। বড় প্রশ্ন। অবস্থা এমন ট্রেনে চড়তে ভয় পায় সিদ্দিকা। গ্রাম ছেড়ে বাইরে বেরোলেই সিদ্দিকাকে ঘিরে ভিড়। ছবি তোলার ধূম। সিদ্দিকা চায় ইঞ্জেকশনটা যদি বংশীহারিতেই দেওয়ার ব্যবস্থা হত---এই মনখারাপটা আর হতনা।


আরও পড়ুন  রোগ সারাতে ওঝার শরণাপন্ন হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু এক আদিবাসী যুবকের!