ওয়েব ডেস্ক: শিলিগুড়িতে এ বার প্রেস্টিজ ফাইট। বাম-কংগ্রেস জোটের পথিকৃত্‍ অশোক ভট্টাচার্যকে হারাতে মরিয়া তৃণমূল। আটকাতে হবে হারের হ্যাটট্রিক। বামেদের জালে বল জড়াতে বাইচুংকে পাস বাড়াতে তৈরি গোটা ঘাসফুল শিবির। বিধানসভা ভোটে যে কেন্দ্রগুলির দিকে সব রাজ্যবাসীর নজর তার মধ্যে অন্যতম শিলিগুড়ি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথমে পুর নিগম। তারপর মহকুমা পরিষদ। অশোক মডেলে পরপর দু-বার হার হজম করতে হয়েছে তৃণমূলকে। তাই, বিধানসভা ভোটে সামনে বাইচুং ভুটিয়া থাকলেও আসলে ব্যক্তি অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লড়াইটা গোটা শাসকদলের। সব বিরোধী দলকে একজোট করতে পারলে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব।রাজনৈতিক মহলের মতে শিলিগুড়ি মডেলের এই শিক্ষা বাম-কংগ্রেস জোটের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। প্রচারে নেমে অশোক ভট্টাচার্যও বুঝিয়ে দিচ্ছেন পুর নিগম, মহকুমা পরিষদে জয় তাঁকে বিধানসভাতেও আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে।


গত বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়িতে তৃণমূল প্রার্থী রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের কাছে পাঁচ হাজার ভোটে হেরে যান অশোক ভট্টাচার্য। লোকসভা ভোটে শিলিগুড়ি বিধানসভায় বামেদের চেয়ে কুড়ি হাজার ভোটে এগিয়েছিল তৃণমূল। শিলিগুড়ি বিধানসভার মধ্যে রয়েছে শিলিগুড়ি পুর-নিগমের তেত্রিশটি ওয়ার্ড। কিন্তু, পুরভোটে এই তেত্রিশটি ওয়ার্ডে সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বামেরা। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে শিলিগুড়িতে এবার টাফ ফাইট।


কলকাতা ফিরে ইশতেহার প্রকাশ করে আগামী সপ্তাহে ফের উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, শিলিগুড়িতে প্রচারে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। অশোক ভট্টাচার্যকে হারাতে কর্মিসভার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারাও প্রচারে শিলিগুড়ি যাবেন। পুর-নিগম, মহকুমা পরিষদে হারের পর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর ডানা ছাঁটা হয়েছে। শিলিগুড়ির পাশেই ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে এবারও তিনি প্রার্থী। গৌতম দেবের সামনে জোড়া চ্যালেঞ্জ। নিজে জিততে হবে। পাশের কেন্দ্রে অশোক ভট্টাচার্যকেও হারাতে হবে। তবে, মুখে যাই বলুন না কেন, দুই পরীক্ষায় পাস করতে না পারলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত যে ঘোর অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে, তা গৌতম দেবের চেয়ে ভাল আর কেউ জানেন না।