ওয়েব ডেস্ক : সিঙ্গুরে এখন উলট পুরাণ।  ইচ্ছুক কৃষকরা বলছেন, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগে জমি ফেরত চাই, তারপর ভাবা যাবে শিল্পের কথা। আর অনিচ্ছুকরা বলছেন, শিল্প হলে মন্দ কী? জমি দিতে রাজি তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৬ সিঙ্গুর..ইতিহাসের পাতায়...


টাটাদের জন্য জমি নিতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি। না হলে, হাতছাড়া হতে পারে ন্যানো কারখানা। কাগজে বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই, এগিয়ে এলেন একদল কৃষক। স্বেচ্ছায় রাজি হন জমি দিতে। শর্ত একটাই, গড়তে হবে কারখানা।  প্রায় ১২ হাজার ইচ্ছুক কৃষক জমির দলিল জমা দিয়ে চেক নেন BDO অফিস থেকে। তবে বেঁকে বসেন কেউ কেউ। যাঁদের সামনে রেখে শুরু হয় আন্দোলন। অনশন-ধরনা বিক্ষোভ-লাঠিচার্জ।


২০১৬ আর এখন...


আরও একবার খবরে সিঙ্গুর। শীর্ষ আদালতের রায়। ইচ্ছুক-অনিচ্ছুকের ফারাক ভুলে জমি ফেরাত হবে সকলকে। কিন্তু, একইসঙ্গে তৈরি হয়েছে ছোট্ট একটা জল্পনা। আবার কি শিল্প হবে? এবার কিন্তু, বেঁকে বসেছেন সিঙ্গুরের সেদিনকার ইচ্ছুক কৃষকরা। আবার একদল আছেন, যাঁরা জমি পাওয়ার পর শিল্পের জন্য ফের জমি দেবেন কিনা ভেবে দেখবেন। তার আগে পেতে চান জমির দলিল।


কোথায় দাঁড়িয়ে?


শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে ১২ সপ্তাহের মধ্যে চাষযোগ্য করে ফেরাতে হবে জমি। মন্ত্রীরা বলছেন, আদালতের নির্দেশ মেনে যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় চলছে কাজ। এখন যদি, সিঙ্গুরের মাটিতে ফের শিল্প করতে হয়? তবে প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল। প্রথমে আদালতের নির্দেশ মেনে জমি ফেরাতে হবে জমি মালিকদের। তারপর সেই জমি কিনতে হবে কৃষকদের কাছ থেকে, তাদের মর্জিমাফিক  দরে। কোনওভাবেই বেসরকারি উদ্যোগে কারখানা তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে না সরকার, কারণ তা হবে শীর্ষ আদালতের রায়ের পরিপন্থী।


সব কৃষক জমি দেওয়ার পরই সিঙ্গুরের বুকে গড়ে উঠতে পারে কারখানা। এই মুহুর্তে সিঙ্গুর যে তিমিরে দাঁড়িয়ে তাতে শিল্পপতিরা রাজি থাকলেও, আইনগত দিক থেকে তাদের হাতে জমি তুলে দেওয়া কঠিন।