ওয়েব ডেস্ক: টাটার কারখানা ভাঙতে এবার টাটাদেরই গাড়ি। সিঙ্গুরে টাটাদের মূল কারখানার শেড ভাঙতে কাজে লাগানো হচ্ছে টাটাদের তৈরি পে লোডার। যে গাড়ি একসময়ে তৈরি হয়েছিল কারখানা গড়তে, এখন তা দিয়েই চলছে ভাঙার কাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩ হাজার শ্রমিকের শ্রম, সঙ্গে জাপানি প্রযুক্তি ও উন্নত যন্ত্রপাতির যুগলবন্দি। কয়েক বছর ধরে সিঙ্গুরের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল টাটাদের ন্যানো কারখানা। টাটাদের পরিকল্পনা ছিল, ন্যানো দিয়ে শুরু করে পরবর্তীকালে আরও উন্নত প্রযুক্তির গাড়ি তৈরি। তাই সিঙ্গুরের শেড শুধু শক্তপোক্তই নয়, অত্যাধুনিকও বটে।


কিন্ত, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ কৃষকদের ফেরাতে হবে জমি। অতঃপর ভাঙতেই হবে শেড।  সোমবার থেকে প্রশাসনই শুরু করেছে শেড ভাঙার কাজ।অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের এনে বার বার বুঝে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, ভাঙা যায় কীভাবে? দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাথা ঘামিয়ে ঠিক করতে পারেন নি সহজে ভাঙার পদ্ধতি।  শেষপর্যন্ত, ছেনি হাতুড়ি আর গ্যাস কাটার দিয়েই শুরু হয়েছে কাঠানো ভাঙার কাজ।


পুরো দমে কাজ করছেন এক হাজার শ্রমিক । সকাল থেকেই একের পর এক অত্যাধুনিক যন্ত্র ঢুকতে শুরু করেছে প্রকল্প এলাকা। ঢুকছে গাড়িও।  সেগুলি আবার টাটাদেরই তৈরি । এক সময় যে গাড়ি ব্যবহার হয়েছিল দ্রুত কারখানা তৈরির জন্য, এখন সেই গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে দ্রুত কাঠামো ভাঙার কাজে। কিন্তু, টাটাদের কারখানা ভাঙতে হঠাত্‍ টাটাদেরই গাড়ি কেন? ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, এছাড়া উপায় নেই।  ভাঙার জন্য ব্যবহৃত অত্যাধুনিক গাড়ি তৈরির কারিগর সেই টাটারাই।


একসময়ে তৃণমূলের নেতারা ন্যানো গাড়ি চড়তেন না। চড়লে তা খবর হত। আবার রবীন দেব সিঙ্গুরে প্রার্থী হওয়ার জন্য এসেছইলেন সেই ন্যানো চড়ে। সেটাই ছিল প্রচারের প্রতীক। টাটাদের কারখানা ভাঙার জন্য ব্যবহার হচ্ছে টাটাদের গাড়ি।