ওয়েব ডেস্ক: কারখানা হয়নি। কৃষকরা জমিও ফেরত পাননি। প্রচারে নেমে ভোটারদের বারবার এই কথাটাই মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বিরোধী দলের হেভিওয়েট প্রার্থী। আর মাস্টারমশাই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর এলাকার মানুষের আস্থা অটুট। তাই ভোটের ফল নিয়ে তাঁর কোনও মাথাব্যথা নেই। সিঙ্গুরের জমিতে ভোটের লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত দেড় দশক সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে। সিঙ্গুর ব্লকের ১৩টি ও চণ্ডীতলা দু-নম্বর ব্লকের ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে তৈরি সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্র। ২০০৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর সিঙ্গুরের ভোটে লাগাতার রক্তক্ষরণ হয়েছে বামেদের। গত পঞ্চায়েত ভোটে সিঙ্গুরের দুটি পঞ্চায়েত সমিতিই যায় ঘাসফুলের দখলে। ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীকে ৩৫ হাজার ভোটে হারিয়ে দেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্রে বামেদের পিছনে ফেলে ৩০ হাজার ভোটে এগিয়েছিল তৃণমূল।


৩ বারের বিধায়ক সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই এবারও ঘাসফুলের প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সমর্থনে মাঠে নেমেছেন হেভিওয়েট সিপিএম নেতা রবীন দেব। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিয়ে ফের বিধানসভায় যাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বিদায়ী বিধায়ক। বিরোধী দলের প্রার্থীও পৌছে যাচ্ছেন দরজায় দরজায়।


এলাকার বাসিন্দাদের মনে জমি আন্দোলনের স্মৃতি আর জমি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি। এককথায় এটাই প্রচারে তৃণমূলের অভিমুখ। সঙ্গে রয়েছে উন্নয়নের দাবি। সিপিএম আবার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে এই জমিতেই শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সব ইস্যু ছাপিয়ে ন্যানোর ছায়াতেই ভোট হচ্ছে সিঙ্গুরে। আশা-নিরাশার দোলায় দুলছেন সিঙ্গুরের মানুষ। শাসক-বিরোধী দু-পক্ষের প্রার্থীই তাঁদের মনের হদিশ পেতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না।


তৃণমূলের অন্দরের খবর, বেচারাম মান্নার ঘনিষ্ঠরা এবার রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে প্রার্থী দেখতে চাননি। টাটাদের কারখানা বা কৃষকদের জমি ফেরত, কোনওটিই না হওয়া, প্রচারে বিরোধীদের ইস্যু। রাজনৈতিক মহল বলছে, এবার মাস্টারমশাইয়ের রাস্তাটা আগের মতো অতো মসৃণ নয়। সিঙ্গুরের জমিতে লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি।