ওয়েব ডেস্ক: ইতিহাস, অতীতের আয়না। যাঁরা ইতিহাস তৈরি করেন, তাঁরা সাধারণত দেখে যেতে পারেন না। তা নিয়ে খবর হয়। মনে রাখে মানুষ। কিন্তু লিখিত ইতিহাস! সেই দলিল রচিত হয় অনেক পরে। ব্যতিক্রম সিঙ্গুর। হুগলির এই গ্রাম দেখছে উলটপুরাণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিঙ্গুর আন্দোলন। জমির লড়াই। ঝরেছে রক্ত। ক্ষতবিক্ষত সিঙ্গুরের মাটি। অবশেষে দশ বছর লড়াইয়ের শেষে, পূর্ণ হল বৃত্ত। সেদিনের লড়াইয়ে ছিল পায়েলও। বয়স তখন সবে আড়াই। তাদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। শুনেই পায়েলের পরিবার ছুটে যায় বিডিও অফিসে। আড়াই বছরের পায়েল কোথায় থাকবে? তাই তাকে কোলে নিয়েই ছোটেন মা। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। 


আরও পড়ুন এক হেলিকপ্টার আর তিন প্রিয় ক্রিকেটার


সেই ইতিহাস এবার জায়গা পেতে চলেছে পাঠ্যবইয়ের পাতায়। ক্লাস নাইন-টেনের ছাত্রছাত্রীদের পড়তে হবে সিঙ্গুরের ইতিহাস। উঠে আসবে তাপসী মালিকের কথা। কৃষি আন্দোলনের কথা। আর নিশ্চিতভাবেই তাতে জায়গা করে নেবে পায়েলও। সেদিনের সেই ছোট্ট পায়েল এখন ক্লাস এইটের ছাত্রী। বছর ঘুরলেই ক্লাস নাইন। আর এমনই মজা, নিজের ইতিহাস নিজেই পড়বে পায়েল। পরীক্ষার খাতায় লিখবে সেদিনের লড়াইয়ের কথা।


এই সমাজে বহু মানুষ যাঁরা ইতিহাস তৈরি করেন। কিন্তু সেই ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে পারেন ক'জন! এমন কে কে আছেন যাঁরা দেখে যেতে পারেন, তাঁর কথা জায়গা করে নিয়েছে পাঠ্যবইয়ে। পায়েল বাগ সেই অনন্যদের একজন।


আরও পড়ুন বেহাত বহরমপুর, ১৬ জন কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূলে যাচ্ছেন পুর চেয়ারম্যান