ওয়েব ডেস্ক: স্মার্ট ক্যাম্পাসের তকমা পেতে চলেছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। ঝাঁ চকচকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকছে ওয়াইফাই জোন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে দরকার পড়বে স্মার্ট কার্ডের। আসুন দেখে নেওয়া যাক স্মার্ট ক্যাম্পাসের তকমা পেতে কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইউজিসির গাইডলাইন মেনে রাজ্যের প্রথম অত্যাধুনিক স্মার্ট ক্যাম্পাস পেতে চলেছে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। শতবর্ষ পেরনো কলকাতা, প্রেসিডেন্সি বা যাদবপুরের গায়ে এখনও স্মার্ট ক্যাম্পাসের তকমা ওঠেনি।


বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মার্ট ক্যাম্পাস


ইউজিসির গাইডলাইনে স্মার্ট ক্যাম্পাসের জন্য কয়েকটি গাইডলাইন রয়েছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর নয়, আবাসন চত্বরেও ২৪ ঘণ্টাই ওয়াইফাই জোন থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো এলাকায় সিসিটিভি থাকবে। স্মার্ট ক্লাস রুম চালু হতে হবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজিরা নিতে হবে অধ্যাপক,পড়ুয়া,শিক্ষাকর্মীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ,পড়ুয়া,শিক্ষাকর্মী প্রত্যেককে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই ওয়াইফাই ও সিসিটিভি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।


স্মার্ট ক্লাস রুমের কাজ চলছে। বায়োমেট্রিকের জন্য স্মার্ট কার্ড তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিংকে। প্রথম পর্যায়ে স্মার্ট কার্ড পাবেন উপাচার্য, রেজিস্ট্রার,ফিনান্স দফতর ও দূরশিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও কর্মচারীদের। কী থাকবে এই স্মার্ট কার্ডে? বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে এটিএম কার্ডের মতো দেখতে হবে কার্ডটি। 


যিনি এই স্মার্ট কার্ড ব্যাবহার করবেন তাঁর নাম, রক্তের গ্রুপ ও বাড়ির ঠিকানা থাকবে ডিসপ্লেতে।


ক্যাম্পাসে ঢুকতে হলে এই স্মার্ট কার্ড থাকতেই হবে।


অন্য ভিজিটারদের ঢোকার জন্য স্লিপ ইস্যু করা হবে। 


স্মার্ট কার্ড ছাড়া অধ্যাপক,পড়ুয়া কেউই ক্লাসে ঢুকতে পারবেন না।


পড়ুয়াদের উপস্থিতির হারও জানা যাবে এই কার্ডের মাধ্যমে।


পড়ুয়াদের লাইব্রেরি, রেজাল্ট সংক্রান্ত নানা তথ্য লিপিবদ্ধ থাকবে স্মার্ট কার্ডে।


পরবর্তী কালে অ্যাডমিট কার্ডের কাজ করবে এই স্মার্ট কার্ড।


ক্যান্টিনে প্রিপেড কার্ড হিসাবেও ব্যবহার করা যাবে।


বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি এই কার্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মচারীদের বেতন থেকে ছুটি , নানা তথ্য জানা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দাবি, স্মার্ট ক্যম্পাসের তকমা পেতে যেসব মানদণ্ড আছে তার ৬০ শতাংশ কাজই সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। নভেম্বরের মধ্যেই সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।