ওয়েব ডেস্ক: বাবার খুনিকে ধরিয়ে দিল ১০ বছরের ছেলে। সে খুনি অন্য কেউ না, তারই মা। মাকেই বাবার জলে বিষ মিশিয়ে দিতে দেখেছিল সে। পুলিসকে সেকথা জানিয়েছে ১০ বছরের ছেলেটা। ছেলের জবানবন্দিতেই গ্রেফতার হয়েছে তার মা ও মায়ের প্রেমিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাওড়ার শ্যামপুর থানার উলুঘাটা খুড়িগাছির বাসিন্দা ছিলেন সীতারাম মণ্ডল। কিছুদিন ধরেই তাঁর সংসারে অশান্তি চলছিল। স্ত্রী অনিতার সঙ্গে এলাকারই এক ব্যক্তি বিশ্বনাথ মণ্ডলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলেন সীতারাম। আর এরমধ্যে ২৬ অক্টোবর হঠাত্‍‍ই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তিও হন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ২৭ তারিখ মৃত্যু হয় সীতারামের।


আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন


ছেলের পরিবারে অশান্তির কথা জানতেন সীতারামের বাবা-মা। তাই এই মৃত্যুতে তাঁদের সন্দেহ হয়। পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন ছেলে হারানো বয়স্ক বাবা-মা। সেই তদন্তেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।


কার্ড-ছেলের বয়ানেই পর্দাফাঁস, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সীতারামের স্ত্রী অনিতার কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে, সন্দেহ বাড়ে পুলিসের। তারপর সব জলের মত স্পষ্ট হয়ে যায় সীতারাম আর অনিতার দশ বছরের ছেলের বয়ানে। তার মা-ই তার বাবার জলে বিষ মিশিয়েছে। পুলিসকে সোজাসুজি জানায় ছোট্ট ছেলেটা। জানায়, কিছুদিন ধরেই বিশ্বনাথের সঙ্গে তার মায়ের শলা পরামর্শর কথা। বাবাকে খুনের চক্রান্ত করছিল তার মা।


আরও পড়ুন ঠিক ষোল দিনের মাথায় আবারও ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য মহিষাদলে


একদিন রাতে শুনতেও পেয়ে গিয়েছিল সে। ছাব্বিশ তারিখ দুপুরে মায়ের কাছে একটু জল চেয়েছিলেন তার বাবা। আর তখনই বাবার জলে বিষ মিশিয়ে দেয় তার মা অনিতা। সেই জল খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে সীতারাম। মুখ বন্ধ রাখাতে বলে মা। জোটে শাসানি আর মারধরের হুমকি।


ছোট ছেলে তাই ওইটুকু শাসানিই যথেষ্ট। কিন্তু বাবাকে হারিয়ে হয়তো আর চুপ থাকতে পারেনি সে। তাই শাসানি, ভয় সব ভুলেই পুলিসকে জানিয়েছে গোটা ঘটনা। ছেলের বয়ানের ভিত্তিতেই অনিতা এবং বিশ্বনাথকে গ্রেফতার করে পুলিস। অনিতাকে ৩দিনের পুলিস হেফাজত আর বিশ্বনাথকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় উলুবেড়িয়া আদালত।