ওয়েব ডেস্ক: বাবার বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরেই খুন হয়েছেন দেবজিত্‍ সাঁতরা। পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের ডিপিএল টাউনশিপে উদ্ধার হয় দেবজ্যোতি সাঁতরার মৃতদেহ। পাশেই গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার হয় নিয়ামতপুর ফাঁড়ির সিভিক ভলেন্টিয়ার মিঠু যাদবের রক্তাক্ত দেহ। বর্ধমানের সাধনপুর পলিটেকনিকের ছাত্র দেবজ্যোতি সাঁতরার বাবা রঘুনাথ সাঁতরা দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার এস আই। এর আগে তিনি নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় রঘুনাথ সাঁতরার সঙ্গে পরিচয় হয় মিঠু যাদবের।


পুলিসি তদন্তে জানা গেছে, নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে কর্মরত থাকার সময় থেকেই মিঠু যাদবের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে রঘুনাথ সাঁতরার। রঘুনাথ কোকওভেনে চলে আসার পর নিয়ামতপুরে তাঁর কোয়ার্টারে থাকত মিঠু যাদব ও তাঁর মা। দুজনের পরিবারই জানত এই সম্পর্কের কথা। তাই নিয়ে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। কিন্তু রঘুনাথ সাঁতরা ও মিঠু যাদবের সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।


পুলিসের তদন্ত অনুযায়ী, শুক্রবার রঘুনাথ সাঁতরার সঙ্গে দেখা করতে দুর্গাপুর স্টেশনে আসেন মিঠু যাদব। সেখানে আসেন রঘুনাথও। দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বাইকের চাবি কেড়ে নেন মিঠু। আর সেই বাইক নিয়েই রঘুনাথ সাঁতরার বাড়ির দিকে রওনা হয়ে যান মিঠু যাদব। রঘুনাথ সাঁতরার বাড়ির কাছেই মিঠুর সঙ্গে দেখা হয় রঘুনাথের ছেলে দেবজিত্‍ সাঁতরার সঙ্গে। বাবার সঙ্গে মিঠু কেন সম্পর্ক রেখেছে, তা নিয়ে দুজনের বচসা শুরু হয়। মিঠু ব্যাগ থেকে ছুরি বার করে দেবজিতকে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দেবজিতের। এরপরে নিজের গলায় ছুরি চালায় মিঠু যাদব। গুরুতর জখম অবস্থায় মিঠু যাদবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে মিঠু যাদবের মাকে জেরা করে পুলিস।