ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যেই স্ট্রবেরি চাষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ফলছে লাল টুসটুসে স্ট্রবেরি। জেলার একমাত্র স্ট্রবেরি চাষি সুব্রত মহেশ দিশা দেখাচ্ছেন গোটা রাজ্যে। মাত্র দেড় বিঘা জমিতেই ফলিয়েছেন ৬৫ কুইন্টাল স্ট্রবেরি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৮০ শতাংশ স্ট্রবেরির জোগান দেন পিংলার সুব্রত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


তিনি ভেবেছেন একটু অন্যভাবে। আর পাঁচজন চাষির থেকে তিনি একটু আলাদা। ধান, গম, আলু নয়, তিনি চাষ করেন স্ট্রবেরি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একমাত্র স্ট্রবেরি চাষি। টেস্টি টেস্টি স্ট্রবেরি। এক কামড়েই আহা।


স্ট্রবেরি চাষে দিশা দেখাচ্ছেন পিংলার সুব্রত মহেশ। সঠিক তথ্য ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবে গ্রামের সিংহভাগ মানুষই ধান, গম, আলুর বাইরে অন্য কোনও চাষ করার ঝুঁকি নেন না। এই গতে বাঁধা অভ্যেস থেকে বেরিয়ে স্ট্রবেরি চাষে নেমে পড়েছেন পিংলার গোগ্রামের সুব্রত মহেশ। বছর চারেক আগে একটু ঝুঁকি নিয়ে খোঁজখবর করে তথ্য জোগাড় করে সামান্য একটু জমিতেই স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন তিনি। নিয়ম মেনে চাষ করে প্রথম বছরেই লাভের মুখ দেখেন সুব্রত। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।


ধীরে ধীরে জমির পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৮০ ডেসিমেল বা দেড় বিঘা জমিতে এই চাষ করেছেন। মূলত শীতকালেই স্ট্রবেরি চাষ হয়। চাহিদাও যথেষ্ট। মরশুমের শুরুর দিকে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজিদরে এই ফল বিক্রি করেন সুব্রত। ১-২ মাস পর দাম কমতে থাকে।


চাষের খরচে লাগাম টানতে নিজেই চারাগাছ তৈরি করেন সুব্রত। তার জন্য বানিয়েছেন গ্রিন হাউস। গত বছর থেকে সরকারি সাহায্য মিলছে। উত্পাদন খরচে ভর্তুকি পাচ্ছেন সুব্রত মহেশ। সুব্রত চান, স্ট্রবেরি চাষে এগিয়ে আসুক আরও অনেক চাষি। লাভ আছে। সরকারি সাহায্যও মিলছে। কেউ স্ট্রবেরি চাষে আগ্রহী হলে সহযোগিতার হাত বাড়াতে প্রস্তুত পিংলার সুব্রত মহেশ।