ওয়েব ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী হয়ে প্রধান হয়েছিলেন সুমিতা বাস্কে। কিন্তু কিছুদিন পরই নিজের দলের লোকেদের হাতে চরম হেনস্থার শিকার হতে হল তাঁকে। অভিযোগ শুধুমাত্র সাঁওতাল তাই নাপসন্দ। অবশ্য শেষমেষ রেহাই মিলল হাইকোর্টের সহয়তায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রীতিমত নিয়ম মেনে মানুষের ভোট পেয়ে পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছিলেন। তারপর দলের সিদ্ধান্তেই বর্ধমানের চকদীঘী গ্রামপঞ্চায়েতের  প্রধান হন । কিন্তু দিনকয়েক পরই ঘটল অন্য ঘটনা।


অবাক হবেন না। সুমিতাকে দিনের পর দিন সাঁওতাল হবার জন্যই গঞ্জনা শুনতে হয়। আদীবাসী হওয়ার অপরাধে কপালে জোটে অপমান। অবস্থা এমন পঞ্চায়েত অফিসে যে তার বসার জায়গাটাও ছুঁড়ে ফেলতে দ্বিধা করেননি উঁচু জাতের  ভদ্রলোকেরা।


২০১৩ সালে  এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি আসনের মধ্যে ১৯টি আসন পায় তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান করা হয় সুমিতাকে। কিন্তু বর্তমানে সেই সুমিতার বিরুদ্ধেই  অনাস্থা প্রস্তাব আনতে উদ্যোগী হয় তৃণমূল কংগ্রেসের বারো জন সদস্য। অবশেষে হাইকোর্টের দারস্থ হন সুমিতা। 


বিচারপতি সমাপ্তী চট্টোপাধ্যায়  অনাস্থা প্রস্তাবকে খারিজ করে দেন। জয় হয় সুমিতার। প্রশ্ন উঠছে  আইনি সাহায্য মিলেছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী  আদীবাসী উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন। অথচ বাস্তবে এর করুণ চিত্রটাই তুলে ধরছেন সুমিতারা। বারবার অনেকবার...।