ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূল দলে থেকে মাতব্বরী করা যাবে না। মালদায় দলীয় কর্মীসভায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে শুভেন্দু জানান ভোটের সময় দলে থেকে যাঁরা দলবিরোধী কাজ করেছে এখন আবার দলে কাজ করছেন তাদের সবাইকে দল থেকে বিতাড়িত করা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মালদা কলেজ অডিটোরিয়াম। দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সামনেই কাজিয়ায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বিধানসভা ভোটে জেলায় দলের  মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মঞ্চে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলছিলেন সাবিত্রী মিত্র। সাবিত্রী এই কথা বলতেই অডিটোরিয়ামে উপস্থিত তৃণমূল নেতা কর্মীরা নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বেশ কিছুক্ষণ পর অবস্থা আয়ত্তে আসে। পরে মঞ্চে উঠে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ভোটের ফল প্রকাশের পরপরই খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদার গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তারপরও অবস্থা বদলায়নি। মালদায় তৃণমূলের কার্যত পাঁচটি গোষ্ঠী । কৃষ্ণেন্দু, সাবিত্রী, মোয়াজ্জম, দুলাল, আবু নাসেরের পারস্পরিক দ্বন্দ্বে ব্যাতিব্যস্ত মালদা তৃণমূল।


গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে জেলায় ৩৩ জনের একটি বিশেষ কোর কমিটি গঠন করলেন শুভেন্দু। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়ে আবু নাসের খান চৌধুরীকে। তৃণমূল জেলা সভাপতি মোয়াজ্জম হোসেন, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, সাবিত্রী মিত্র প্রত্যেকেই এই কমিটির সদস্য। এখন দেখার শুভেন্দুর ওষুধে মালদা তৃণমূলের কোন্দল রোগ সারে কিনা।