ওয়েব ডেস্ক: দল বদলের এমন টানটান উত্তেজনা আগে ময়দানে ফুটবল ক্লাব গুলিতে দেখা যেত। মালদার জেলা পরিষদ নেতাদের দলবদল নিয়ে আজ তেমনটাই হল। বারবার গোপন বৈঠক, সদস্যদের লুকিয়ে রাখা সবই হল। তবে শেষ পর্যন্ত দলবদল হল না। কংগ্রেসের দাবি, এ যাত্রায় বামেদের হাত ধরে গড় বাঁচাচ্ছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খবর ছিল শনিবারই দল ছাড়ছেন মালদা জেলা পরিষদের একঝাঁক কংগ্রেস আর বাম সদস্য। সভাধিপতি সরলা মুর্মুও দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন বলে খবর রটে য়ায়। এখানেই শেষ নয়। এই দলত্যাগীদের গোপনে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানা যায়। তবে পুরোটাই চুপচাপ। কোন অঙ্কে গৌড়ের গদিতে ঘাসফুল পতাকা তুলতে চাইছিল?


আরও পড়ুন শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা


মালদা জেলা পরিষদে মোট আসন ৩৮টি। ২০ ম্যাজিক ফিগারে পৌছতে পারলেই দখল নেওয়া যাবে জেলাপরিষদের। ভোটের ফলে, বাম ও কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৬টি করে আসন। আর তৃণমূলের ৬টি। তাহলে কোন অঙ্কে ৬ থেকে ২০ হতে চাইছিল তৃণমূল।


দাবি করা হচ্ছিল কংগ্রেস আর বাম দুপক্ষেরই ৮ জন করে তৃণমূলে আসছেন। আর তাতেই ২২ জনের সমর্থন পাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তবে শেষ পর্যন্ত সেসব কিছুই হল না। শনিবারের মতো দলবদল স্থগিত রাখল তৃণমূল কংগ্রেস কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী সময় দিতে পারেননি বলেই কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হল।


মালদার কংগ্রেস নেতারা অবশ্য অন্য হিসাবে এই অঙ্ক মেলাচ্ছেন। গড় বাঁচাতে মুর্শিদাবাদের মতো এখানেও কংগ্রেসের ভরসা বামেরা। কংগ্রেস নেতাদের দাবি,  যতজনের কংগ্রেস ছাড়ার কথা ছিল ততজন দল ছাড়ছেন না। তার পর বাম-বন্ধুরাতো আছেনই। আর তাতেই রক্ষা!


আরও পড়ুন অপারেশন চলাকালীন আগুন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে!


শনিবার গোপন ডেরায় বাম-কংগ্রেসের বৈঠকও হয়। ইদানিং এক-দুজন করে সদস্য না নিয়ে পুরো বোর্ড উল্টানোর স্ট্র্যাটেজিতেই ভরসা রাখছে তৃণমূল ভবন। তাই কি আপতত পিছিয়ে এলেন তাঁরা?  কংগ্রেস কি শেষ পর্যন্ত ভাঙন রুখতে পারবে?  নাকি শনিবার সাময়িক ভাবে গড় বাঁচাল কংগ্রেস, সে প্রশ্ন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।