ওয়েব ডেস্ক: বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার শাসকদল। এবার নড়েচড়ে বসল পুলিস প্রশাসনও। নানুর ও বোলপুর থানার আইসি, ওসিদের নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেন বীরভূমের জেলা পুলিস সুপার মুকেশ কুমার। রাতভর তল্লাসি চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিস। গতকাল বীরভূমে যান ডিআইজি পশ্চিমাঞ্চল রঞ্জিত সিংও। পুলিসের অবশ্য দাবি, নিয়মমাফিক পরিদর্শনেই গিয়েছিলেন ডিআইজি পশ্চিমাঞ্চল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে বাহিরিকাণ্ডে এখনও অধরা এফআইআর-এ নাম থাকা বাইশ অভিযুক্তই। তবে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে শাসক দলের শীর্ষ নেতারা সরব হওয়ার পর কিছুটা নড়েচড়ে বসে পুলিস প্রশাসন। রাতভর বৈঠক করেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।


তবে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কাজল শেখকে কি আদৌ গ্রেফতার করতে পারবে পুলিস? দুজেলার পাঁচ বিধানসভা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। কাজলকে যদি গ্রেফতার করা হয় তাহলে কোন দিকে মোড় নেবে জেলার রাজনৈতিক সমীকরণ? বিধানসভা ভোটের আগে কি ঝুঁকি নেবে শাসক দল?


কাজল শেখ গ্রেফতার হলে তাঁর অনুরাগীরা জেলা জুড়েই হিংসা ছড়াবে বলেই আশঙ্কা পুলিসের। অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হলে কী দায় নেবে বীরভূম পুলিস বা শাসক দল? ঘটনায় অভিযুক্ত বাইশ জনই পুলিসের খাতায় ফেরার। এফআইআর-এ নাম নেই এমন পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে গতকালই বিচারকের তিরস্কারের মুখে পড়ে পুলিস। পুলিসের সাফাই, গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের দেওয়া সূত্র ধরেই মূল অভিযুক্তদের টিকি ধরতে পারবে পুলিস। তবে তা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।