ওয়েব ডেস্ক: রাতের আধারে পাচার হয়ে যাচ্ছে কুলিক বনাঞ্চালের একের পর এক গাছ। গাছ কমায় কমছে পাখির কলতান। বনকর্তাদের দাবি নতুন করে গাছ লাগানো হয়েছে। ঘন হয়েছে বন। খাতায় কলমে দাবি সপক্ষে প্রমাণ থাকলেও বাস্তব কিন্তু বলছে ভিন্ন কথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পর্যটক আসছে, পিকনিক হচ্ছে। বন দফতরের আধিকারিকরা গৌরবের সঙ্গে বলছেন এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পক্ষী নিবাস। কিন্তু জঙ্গল কই ? উত্তর দিনাজপুরের কুলিক বনাঞ্চল ক্রমশ হালকা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে সবুজ তচনচ করে দিচ্ছে কাঠের চোরাকারবারীরা। কিন্তু ডিএফও দাবি করছেন, আগে গাছ আরও কম ছিল , গত দুবছরে  নতুন করে অনেক গাছ পোঁতা হয়েছে।


আরও পড়ুন রোজ কিশমিশ খেলে কী হবে জানেন?


খাতায় কলমে হয়তো নতুন করে গাছ রোপনের কথা লেখা আছে। কিন্তু জঙ্গল বলছে অন্য কথা। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা,  যাঁরা ঘাস কাটতে আসেন, তাঁরা বলছেন ক্রমাগত গাছ কাটা হচ্ছে। আর গাছ কমে যাওয়ায় কমছে পাখির সংখ্যা।অভিযোগ পেয়ে অবশ্য স্থানীয় রেঞ্জারকে বন দেখতে পাঠিয়েছিলেন ডিএফও। তিনি দেখলেন। মানলেন, গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু ব্যবস্থা কি নেওয়া হবে? কারণ চোরাচক্রের শিকড় যে গভীরে। জঙ্গলে যাতে গাড়ি ঢুকতে না পারে সেজন্য পরিখা কাটা হয়েছিল। সেই পরিখায় মাটি ফেলে ট্রাক্টর যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে রাতের অন্ধকারে অনায়াসে গাছ কেটে নিয়ে উধাও হওয়া যায়।


ডিএফও বলছেন তিনশ একুশ একরের বন, চারিদিক খোলা। চোরেরা  সুযোগ নিতেই পারে। তা হলে ? সবুজ বন কী ধূসর হয়ে যাবে। পক্ষী নিবাসে কি ক্রমশ পাখিদের আনাগোনা বন্ধ হয়ে যাবে?


আরও পড়ুন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ধর্ষণ নয়, ঐতিহাসিক রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট