ওয়েব ডেস্ক:  শখ করে মেয়ের নাম রেখেছিলেন স্মৃতি। আজ সেই মেয়ের স্মৃতি আঁকড়ে ধরেই বেঁচে রয়েছেন মা। নিরানব্বইয়ে বাস দুর্ঘটনায় মেয়ের অকাল মৃত্যুর পর দোরে দোরে ঘুরেছেন। প্রায় সতের বছর পর শেষ পর্যন্ত বিচার মিলল। পরিজনদের সঙ্গে কলকাতায় বেড়াতে যায় তেরো বছরের পিঙ্কি। গাজোলে বাড়ি তার। কিন্তু ফেরার পথেই দুর্ঘটনা। আর বাড়ি ফেরা হয় না পিঙ্কির।


প্রখর স্মৃতিশক্তি। সে জন্য আদর করে মেয়েকে স্মৃতি বলেই ডাকতেন পিঙ্কির মা। লেখাপড়াতেও অত্যন্ত ভাল ছিল মেয়েটি। আর্থিক অনটন সত্বেও তাই পিঙ্কির পড়াশোনায় কোনও খামতি রাখেননি তার বাবা-মা। তাঁদের আশা ছিল বড় হয়ে সংসারের হাল ধরবে পিঙ্কি। কিন্তু বাস দুর্ঘটনাতেই সব আশা, সব স্বপ্নের ইতি। মেয়ের দুর্ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয় পিঙ্কির পরিবার। ষোল বছরেরও বেশি সময় পর অবশেষে মিলেছে বিচার। মালদা জেলা জজের আদালত এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থাকে। পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যানের নামে জারি হয়েছে ওয়ারেন্ট। আদালতের রায়ে খুশি পরিবার। তবে মেয়েকে হারানোর যন্ত্রণা আজও পিছু ছাড়ে না পিঙ্কির বাবা-মাকে। মেয়ের স্মৃতি বুকে নিয়ে কোনও মতে বেঁচে পিঙ্কির পরিবার।