ওয়েব ডেস্ক: ভোট শুরুর আগে থেকেই উত্তপ্ত সোনামুখী, জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ। অশান্তির আবহেই চলছে প্রথম দফার দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটগ্রহণ। প্রথম দফার দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ ৩১টি আসনে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ চলছে বাঁকুড়ার ৯টি, বর্ধমানের ৯টি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৩টি কেন্দ্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোথায় কোথায় ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্তি হল-


১) কেশপুর- উত্তপ্ত কেশপুরের গড়গজপোতা গ্রাম। সিপিআইএম-তৃণমূল কংগ্রেস সংঘর্ষে বোমাবাজিতে জখম বেশ কয়েকজন। এলাকায় উত্তেজনা, ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেশপুরে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। ভোট করানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোট শুরুর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে ঝাঁটিয়ারা প্রাইমারি স্কুলের ১৬৪ ও ১৬৫ নম্বর বুথের CPI(M) এজেন্ট মির্জা সাহাদত ও শেখ আনসারকে অপহরণের অভিযোগ।



 


২) নারায়ণগড়- নারায়ণগড়ে বিক্ষোভের মুখে সূর্যকান্ত মিশ্র। কঙ্কালকাণ্ডের ঘটনায় তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ। নারায়ণগড়ের একাধিক বুথ দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সরিয়ে দেওয়া হয় CPI(M)-এর এজেন্টকে। ঘটনাস্থলে সূর্যকান্ত মিশ্র। নারায়ণগড়ে খাকুরদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ঘাটালের গম্ভীরনগর শীতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২৫ নম্বর বুথে ভেতরে পুলিস, বাইরে জওয়ান। নারায়ণগড়ে খাকুরদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ঘাটালের গম্ভীরনগর শীতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২৫ নম্বর বুথে ভেতরে পুলিস, বাইরে জওয়ান।



 


৩) দুর্গাপুর- দুর্গাপুরের সুভাষপল্লিতে আক্রান্ত কংগ্রেসের এজেন্ট, মারধর। বাড়িতে ঢুকে বাইক বাহিনীর তাণ্ডবের অভিযোগ। দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের টামলা বস্তি আদিবাসী স্কুল এলাকায় ১৬৯, ১৭০ ও ১৭১ নম্বর বুথে কংগ্রেসের ক্যাম্প অফিস গুঁড়িয়ে দিল বাইক বাহিনী। বেধড়ক মারধরের হাত থেকে রেহাই পেলেন না আদিবাসী বৃদ্ধাও। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ক্যাম্প অফিসে হামলা চালায় বাইক বাহিনী। সংঘর্ষের কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনায় বাড়াবাড়ি করছে কমিশন। অভিযোগ করলেন দুর্গাপুরের মেয়র তথা দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব মুখার্জি। তাঁর দাবি, নির্ভয়েই ভোট দিচ্ছেন মানুষ।



 


৪) বাঁকুড়া- বাঁকুড়ার ওন্দা গ্রামে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি। রিভলভার হাতে সোনামুখী শহরে খুলে আম ঘুরে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা।



 


৫) বারাবনি- বারাবনিতে ১৭১ ও ১৭২ নম্বর বুথে বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর, অভিযুক্ত শাসকদল। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।



 


৬) বিষ্ণুপুর- বিষ্ণুপুরে আক্রান্ত কংগ্রেস প্রার্থী তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। দেহরক্ষীর পিস্তল ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।


৭) জামুরিয়া- জামুড়িয়ার বাইপাস রোডের ৩৫ নম্বর বুথে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। বুথের সামনে ব্যাগের ভিতর উদ্ধার তাজা বোমা। ভোট শুরুর আগেই শুরু সংঘর্ষ। আসানসোলের জামুড়িয়ার অবিনাশ হাইস্কুলের ৭৫ ও ৭৬ নম্বর বুথে যাওয়ার সময় ২ CPI(M) এজেন্টকে মারধর। মাথা ফাটল জীবন রুইদাস নামে এক CPI(M) এজেন্টের। অভিযুক্ত শাসকদল। জামুড়িয়ায় তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ করলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পূর্ণকাশী রায়। সিপিএমের লোকেরা মারধর করে তাঁদের এজেন্টকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।



৮) চন্দ্রকোণা- চন্দ্রকোণার দক্ষিণ বাজারের ১৩০ নম্বর বুথে CPI(M) পোলিং এজেন্ট দেবদূত মণ্ডলকে মারধর করে বুথ তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। চন্দ্রকোণার ১০৪ নম্বর বুথের CPI(M) পোলিং এজেন্ট ভাস্কর প্রামাণিককে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ। বুথে বিরোধী দলের এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ চন্দ্রকোণার বগঝোরি প্রাইমারি স্কুলের ৩৭ নম্বর বুথে। দু’ক্ষেত্রেই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।


৯) ঘাটাল- ঘাটালে সাই গ্রামের ২৮৯ নম্বর বুথেও CPI(M) পোলিং এজেন্ট জুলফান আলিকে বুথ থেকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস।